সমগ্র বাংলাদেশ

আশুলিয়ার ‘জঙ্গি’ রাশেদুন্নবী নিখোঁজ ছিলেন আড়াই মাস

Byতাজুল ইসলাম রেজা

সোমবার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ উদাখালি গ্রামে রাশেদুন্নবীর বাড়িতে এ কথা জানান তার বাবা হোমিও চিকিৎসক রেজাউল করিম।

রোববার প্রথম প্রহরে আশুলিয়ার নয়ারহাটের চৌরাবালি এলাকায় একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। সেখান থেকে চার ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করে বলে জানায় র‌্যাব।

এদের একজন গাইবান্ধার ফুলছড়ির রাশেদুন্নবী। যিনি জেএমবির ‘সারোয়ার-তামিম গ্রুপের’ সদস্য বলে র‌্যাবের ভাষ্য। 

সরেজমিনে জানা যায়, গাইবান্ধা শহর থেকে দক্ষিণে ১৫ কিলোমিটার দূরে উদাখালি গ্রাম। উদাখালি ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে রাশেদুন্নবীর বাবার টিনশেড বাড়ি। তার মা রিনা বেগম গৃহিণী।

রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে রাশেদুন্নবী চতুর্থ। পুরো নাম রাশেদুন্নবী ওরফে রাশেদ (২১)। রাশেদুন্নবী ২০১৪ সালে প্যাথলজি বিষয়ে বগুড়া সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। বর্তমানে সেখানে চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র।

তিনি আরও বলেন, “গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখের দিকে আমার ছেলে বাড়ি আসে। ১ মে আমার কাছে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে বগুড়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিন তার কলেজ থেকে ফোন আসে রাশেদ পরীক্ষায় অনুপস্থিত। এরপর থেকে নিখোঁজ সে। এ নিয়ে ২২ মে আমরা বগুড়া সদর থানায় জিডি করেছিলাম।”

জঙ্গি আস্তানা থেকে র‌্যাবের কাছে ছেলের আত্মসমর্পণের খবর ফেইসবুকে দেখেন বলে জানান রেজাউল।

“আমার ছেলে বুঝে করুক আর না বুঝে করুক, সে অন্যায় করলে বিচার হোক, এটা আমিও চাই।”

এ সময় রিনা বেগম বলেন, “হামার ছোলটে ভালো আচিলো। কোনদিন অন্যায় করে নাই। খারাপ মানসের পাল্লাত পরি খারাপ হচে।” 

বগুড়া সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, রাশেদুন্নবী নিখোঁজের বিষয়ে গত ২২ মে তার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল।

রাশেদুন্নবীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ফুলছড়ি থানার ওসি আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান।

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া প্রতিনিধি জিয়া শাহীন।)

SCROLL FOR NEXT