সমগ্র বাংলাদেশ

বান্দরবানে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা

Byবান্দরবান প্রতিনিধি

সোমবার রাতে সদর ইউনিয়নের হ্লাপাইওয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত থোয়াই গ্যসে বৈদ্য (৪৫) ওই এলাকার বাসিন্দা।  

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাইক্য জাই ও তার ছেলে উক্যসিং নামে দুইজনকে আটক করেছে।  

সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাচপ্রু মারমা বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৫/৬ জন লোক বাড়ির উঠানে প্রথমে লোহার রড দিয়ে থোয়াই গ্যসে বৈদ্যকে আঘাত করে। ওই সময় তিনি প্রতিবেশী পাইক্যজাই এর বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে।

“এরপর মারধর করে এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে তারাছা খাল এলাকায় একটি ছড়ায় নিয়ে জবাই করে পালিয়ে যায় তারা।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য বোক্য মারমা জানান, থোয়াই গ্যসে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মিয়ানমার চলে গিয়েছিলেন। ২০ বছর আগে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বান্দরবানের সদর ইউনিয়নের ডুলুঝিড়ি পাড়ায় বসবাস শুরু করেন।

বোক্য মারমা বলেন, এরপর তিনি উক্ত পাড়া প্রধান থোয়াইনু মারমার মেয়ে ক্যমাঅংকে বিয়ে করে কিছুদিন ওই পাড়ায় বসবাস করেন। পরে সেখান থেকে একই ইউনিয়নের হ্লাপাইওয়া পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চাষাবাদের পাশাপাশি ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ এসবের কাজও করতেন।

“ধারণা করা হচ্ছে এই বৈদ্যলী (ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ) কর্মকাণ্ডের কারণে শত্রুতাবশতঃ কেউ তাকে হত্যা করতে পারে।” 

নিহতের স্ত্রী ক্যমাঅং বলেন, “পাড়ার উহ্লাচিংয়ের ছেলে পুলুসে, চিংক্যউয়ের ছেলে নুথোয়াইচিং, লুসাইগ্রীর ছলে উঅংসিং, মৃত ক্যখয়য়ের ছেলে উচপ্রু, মৃত চশৈপ্রুয়ের ছেলে মংছোরী ও অজ্ঞাত আরেকজন আমার স্বামীকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মেরে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।”

বান্দরবান সদর থানার ওসি রফিক উল্লাহ জানান, রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

“হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে এবং স্থানীয় দুই প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।”

SCROLL FOR NEXT