সমগ্র বাংলাদেশ

দুই রাজাকারের ফাঁসির আদেশে কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল

Byকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার পর পরই মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ মিছিল বের করেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। মিছিল চলাকালে মিষ্টি বিতরণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মিছিল শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান ও মুক্তিযোদ্ধা বাছির উদ্দিন ফারুকী।

বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের সাজা কার্যকর করতে হবে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুই আসামি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে হুসাইন নিকলি থানা এলাকায় ‘রাজাকার দারোগা’ হিসেবে এবং মোসলেম প্রধান নিকলি ইউনিয়নে রাজাকার কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তারা তখনকার কিশোরগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।

হুসাইনের বড় ভাই সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাছেন আলীকেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃতুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ভাইয়ের মত হাছেন আলীও পলাতক।

ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কামারহাটি গ্রাম থেকে মোসলেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

SCROLL FOR NEXT