সমগ্র বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে জমির বিরোধে হামলায় যুবক নিহত

Byঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

শুক্রবার দুপুরে দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই খায়রুল আনাম জানান।

নিহত মিন্টু (২৫) সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা গ্রামের সমির উদ্দীনের ছেলে।

আহতরা হলেন নিহতের ভাই নুর ইসলাম (৬৫), মুহাইমিনুল হক (৩৭), লিয়াকত আলী (৬৫), নাঈম (২৩), নিহতের ভাবি জিন্না বেওয়া (৬০), খদেমা খাতুন (৫০) ও হাসিনা বেগম (৪০)।

আহতরা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এসআই খায়রুল আনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ২টার দিকে কালেশ্বরগাঁও গ্রামে ৫০ কাঠা জমিতে পাট রোপন করার জন্য চাষ দিচ্ছিলেন মিন্টুসহ তার পরিবারের লোকজন। এ সময় এলাকার পবার উদ্দীন খান হাল চাষে বাধা দেন।

“এতে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে পবার উদ্দীন খানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টুসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।”

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মিন্টু মারা যান বলে এসআই খায়রুল জানান।  

হাসপাতালের চিকিৎসক জাকিয়া আক্তার জুঁই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিন্টুর মাথা ও পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়।

“আহত সাত জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

আহত মুহাইমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কবলা সূত্রে ৫০ কাঠা জমির মালিক আমরা। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে পবার উদ্দীন খান আমাদের এই জমিটি তার দাবি করে প্রায় সময়ই দখল করার চেষ্টা করে।”

এ বিষয়ে পবার উদ্দীন খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সদর থানার ওসি মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

SCROLL FOR NEXT