বৃহস্পতিবার ষাটগম্বুজ মসজিদ ও জাদুঘর ঘুরে দেখে তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক এই স্থাপনা যেভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে তা বিশ্বের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা- ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করতে সকালে বাগেরহাটে আসেন বার্নিকাট।
তিনি ষাটগম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জাদুঘরের বিভিন্ন নিদর্শন দেখেন এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাচীন এই স্থাপনার ঐতিহাসিক তাৎপর্য শোনেন।
বার্নিকাট বলেন, সব পুরাকীর্তি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তার আদি রূপ বজায় রাখার বিষয়টি জরুরি।
১৪৩৫ থেকে ১৪৫৯ সালের মধ্যে দক্ষিণ বাংলার বড় একটি অংশ জয় করে খান আল-আজম উলুগ খান জাহান তখনকার সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের সম্মানে ওই অঞ্চলের নাম রাখেন খলিফাতাবাদ। খান জাহানই ষাটগম্বজ মসজিদের নির্মাতা বলে ধারণা করা হয়।
বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে ষাটগম্বুজ মসজিদ বৃহত্তম এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন নিদর্শন।
এই মসজিদ ও জাদুঘর ঘুরে দেখার সময় বাংলাদেশে ইউএসএইডের পরিচালক জেনিনা মেরুজেলস্কি, উপ পরিচালক টমাস লাভ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।