বেসরকারি এলপিজি অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ।

)<div class="paragraphs"><p>বেসরকারি এলপিজি অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

নির্ধারিত দামে গোপালগঞ্জে মিলছে না সিলিন্ডার গ্যাস

Byমনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোথাও মিলছে না সরকার নির্ধারিত দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সবশেষ ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা।

গত বৃহস্পতিবার এ দাম নির্ধারণ করে কমিশন। যা আগে ছিল ১ হাজার ২৩২ টাকা। সে হিসেবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ২৬৬ টাকা।

এদিকে, বেসরকারি এলপিজি অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা গ্রাহক প্রায় ১ লাখ।

কিন্তু নতুন নির্ধারিত দামে এখানকার গ্রাহকরা গ্যাস কিনতে পারছেন না।

দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি আর অসাধু ব্যবসায়ীদের যাতাকলে দিশেহারা ভোক্তারা দোষছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে।

যার ফলে সঙ্কট ও সরবরাহ না থাকার অজুহাতে গোপালগঞ্জের গ্রাহকদের থেকে ১২ কেজির সিলিন্ডারে একশ টাকা বা তারও বেশি নিচ্ছেন খুচরা গ্যাস বিক্রেতারা।

সদর উপজেলার মাঝিগাতী দশপল্লী নেছার উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “এমনিতেই নিত্যপণ্যের দামে আমি দিশেহারা। হঠাৎ গ্যাসের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ। কিন্তু নির্ধারিত দামেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না; সঙ্কট দেখানো হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ১ হাজার ৬৩০ টাকা দিয়ে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে।”

শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, গ্যাসের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও।

দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি আর অসাধু ব্যবসায়ীদের যাতাকলে দিশেহারা ভোক্তারা।

গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী ও খান স্নেক্সের মালিক ইসতিয়াক খান।

তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রণহীন বাজার থেকে চাল, ডালসহ অন্য পণ্য কিনছি। তারপর সবোর্চ্চ দামের গ্যাসে রান্না করে হোটেল ব্যবসায় লাভ করা দায় হয়ে পড়েছে। তাই চুলা এখন নিভু নিভু অবস্থায় চলছে।”

খুচরা গ্যাস বিক্রেতা গোপালগঞ্জ শহরের পোস্ট অফিস মোড এলাকার উত্তম কুমার সরকার।

তিনি বলেন, “আমরা প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই গ্যাস ডিলারের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।”

তবে ডিলাররা দোষ চাপাচ্ছেন কোম্পানির উপর।

গোপালগঞ্জের গ্রীণ এলপিজির ডিলার কেএম এহসানুল হক মিল্কি।

তিনি বলেন, “কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে প্রতি সিলিন্ডারে দাম নিচ্ছে ১ হাজার ৪৮০ টাকা। এরপর ক্যারিং ৩০ টাকা, লোড-আনলোড ১০ টাকা ও সরবরাহ খরচ আছে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে একটি এলপিজির সিলিন্ডার পৌঁছতে ১ হাজার ৫৩০ টাকা খরচ হয়। তারপর লাভ করতে হয়। এই কারণে ভোক্তা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।”

তার ভাষ্য, “শুধু আমাদের ধরলে সমস্যার সমাধান হবে না। 

নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারে উচিত কোম্পানির সঙ্গে দেন-দরবার করা।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা ইতোমধ্যে অভিযান চালাচ্ছি। অতিরিক্ত দামে সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। গ্যাসের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

SCROLL FOR NEXT