উজিরপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চরছে ছাগল।

)<div class="paragraphs"><p>উজিরপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চরছে ছাগল।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

উজিরপুরে শহীদ মিনারে দুপুরের আগেই ফুল উধাও, বেদীতে চরছে ছাগল

Byবরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুল বেলা ১১টার মধ্যে বেদী থেকে উধাও হয়ে গেছে। একইসঙ্গে মিনারের মূল বেদীতে ঘুরতে দেখা গেছে একাধিক ছাগল। 

মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মো. বাবুল সিকদার। 

এ সময় তিনি শহীদ মিনার চত্বরের দৃশ্য তুলে ধরে বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল ১১টা। একটি ফুল নেই। সব ফুল চুরি হয়ে গেছে। প্রশাসনের তো কোনো নজর নেই। কোনো সম্মান-শ্রদ্ধা কিছুই নেই। সকলের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।” 

উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাবুল সিকদার বলেন, “এই বাংলা ভাষার জন্য কতো মানুষ শহীদ হলো। আর সেই শহীদের শ্রদ্ধা জানানো ফুল সকালে উধাও হয়ে গেছে। এটা আসলেই কষ্টদায়ক। 

“আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে মানতে পারিনি তাই লাইভে এসে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। এখানে যদি প্রশাসনের লোকজন থাকতো তাহলে এই রকম ঘটনা ঘটতো না।” 

এদিকে ফুল গায়েব হয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছেন দ্বায়িত্বশীলরা। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, “প্রভাত ফেরীর সময় ফুল ছিলো। পরে কি হয়েছে বলতে পারবো না।” 

তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি উপজেলার সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে। তাই তদারকির দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে। 

“এ ছাড়া রেজুলেশন করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে। এখন কেউ যদি তার দায়িত্ব অবহেলা করে তা খতিয়ে দেখা হবে। “ 

উজিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ নিয়োজিত ছিল। রাত থেকে প্রভাত ফেরীর শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হয়েছে। 

“তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো শহীদ মিনার তদারকির জন্য কাউকে রাখা।”

অন্যদিকে তদারকি বা নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়নি দাবি করেছেন উজিরপুর সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম। 

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ইউএনও অফিস করে।” 

সকালে তারা উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত কর্মসুচিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর কি হয়েছে তা জানেন না বলে জানান এই শিক্ষক।

SCROLL FOR NEXT