ধর্ষণ মামলায় সোমবার জামিন নিতে টাঙ্গাইলের আদালতে আসেন বাসাইলের সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন।

)<div class="paragraphs"><p>ধর্ষণ মামলায় সোমবার জামিন নিতে টাঙ্গাইলের আদালতে আসেন বাসাইলের সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

‘বিয়ের আশ্বাসে সম্পর্ক’: জামিন পেলেন বাসাইলের সেই ইউএনও

Byটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় জামিন পেয়েছেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর হোসেন।

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা দায়রা ও জজ শেখ আব্দুল আহাদ শুনানি শেষে ইউএনওর জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক তানভির আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাসাইলের সাবেক ইউএনও উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন। ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন মনজুর। সোমবার সেটির শুনানি হয়েছে।

মনজুর রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চরঝিকড়ী গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন।

মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে আইনজীবী আকবর আলী বলেন, মনজুর হোসেন ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেইসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

“এরপর বিয়ের আশ্বাসে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। টাঙ্গাইল শহরে বাড়ি ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কয়েক মাস বসবাস করেন।”

পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে মামলার অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা (বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস) অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে পিপি আকবর আলী বলেন।

এরপর ২৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মনিরা সুলতানা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন:

SCROLL FOR NEXT