ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে তোলা উঁচু দেয়াল।

)<div class="paragraphs"><p>ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে তোলা উঁচু দেয়াল।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

মাদারীপুরে ‘বাড়ির চারপাশে’ দেয়াল, অবরুদ্ধ তিন পরিবার

Byমাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় তিনটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল তৈরির অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই পরিবারগুলো।

দেয়ালের একপাশের একটি অংশ দিয়ে ওই তিন পরিবারের সদস্যরা কিছু দিন চলাচল করলে সেটিও পুরোপুরি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ওই প্রতিবেশী।

তবে সরেজমিন পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ভাউতলি গ্রামের মহব্বত আলী চৌধুরীর ছেলে শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি ২০১৬ সালে কালকিনি পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৯ নম্বর পাঙ্গাশিয়া মৌজায় চার শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। তার বাড়ি থেকে ভূরঘাটা কালকিনি সড়কে বের হওয়ার জন্য ছয়ফুট চওড়া একটি রাস্তা ছিল; যা তিনিসহ অপর দুইটি পরিবার ব্যবহার করে আসছিলেন।

কিন্তু দুই প্রতিবেশী বাদল সরদার ও লিটন সরদার ও এস্কান্দার আলী খান চলাচলের সেই রাস্তায় দেয়াল তুলে দেন। এতে শুধু শহিদুলের নয়, অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ওই এলাকার হারুন সরদার ও ইলিয়াস সরদারের পরিবারটিও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো রাস্তা নেই। তার বসত ঘরের চারদিক দিয়ে দেয়াল তৈরি করেছেন প্রতিবেশী বাদল সরদার, লিটন সরদার ও এস্কান্দার আলী খান। দক্ষিণ পাশের দেয়ালে ছোট একটি পকেট গেট ছিল সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দেয়াল টপকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য।

ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একটা রাস্তা ছিল। কিন্তু গত তিনবছর ধরে যাতায়াতের এ রাস্তাটি ক্রমাগত বন্ধ করে দিয়ে দেয়াল তোলা হয়েছে। আমার স্ত্রী আর তিন মেয়ে বাসায় থাকে। এভাবে যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ভীষণ অসুবিধার মধ্যে আছি।”

আরেক ভুক্তভোগী ইলিয়াস সরদার বলেন, “আগে থেকেই সামনে দিয়ে বের হওয়ার জন্য একটা রাস্তা ছিল, এখন তা বন্ধ করে দিছে। পূর্ব পাশ দিয়া বের হওয়ার একটা জায়গা রাখছে, তাও এখন বন্ধ কইরা দিবো কইছে। আমাদের এখানে দম বন্ধ হইয়া আসে। এভাবে বাঁচা যায় না। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।”

এ ব্যাপারে এসকান্দার আলী খানের ছেলে কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নিজের জায়গায় দেয়াল দিয়েছি; অন্যের জায়গায় দেয়াল দেইনি। আমাদের জায়গা দিয়ে কাউকে বের হতে দেব না।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমরান খান বলেন, “যদি এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণ ব্যবহার করে আসে, সেক্ষেত্রে তা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

SCROLL FOR NEXT