বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।

)<div class="paragraphs"><p>বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

চাঁদপুরে একদিনে ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ, আটক শতাধিক

Byচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। এ সময় নৌযানে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এখলাসপুর এলাকায় নৌ-পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচটি দল অভিযান পরিচালনা করে এসব বাল্কহেড জব্দ করে।

জেলা নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয় আসছিলাম। চলতি বছরের পাঁচ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই বড় ধরনের অভিযান।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের অভিযান ছিল ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আধারে আমরা বালু কাটতে দেই না। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে, তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমাদের চেকপোস্ট ছিল পদ্মা এবং মেঘনার মোহনায়। আমরা নিবন্ধন ছাড়া বাল্কহেড জব্দগুলো করছি।

“যে ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে এগুলোর প্রত্যেকটি পদ্মা নদীর কোনো কোনো স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দ করা বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”, যোগ করেন পুলিশ সুপার।

এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি ফরিদ হোসেন জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা।

প্রতি রাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানান ফরিদ।

বাল্কডেহ থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, তারা কাজ করেন শ্রমিক হিসেব। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে বালু বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।

দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কডেহগুলোতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌ-পুলিশের সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

এ সময় চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT