প্রবাস

শিশুশিল্পী অপর্ণার আঁকায় শিশুদের বই

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
শিশুশিল্পী অপর্ণা ইবনাত আমিন (মাঝে)

অপর্ণার লেখাপড়ার শুরু ঢাকার ছায়ানটের নালন্দা স্কুলে। সেখানেই আঁকাআঁকির স্বপ্নবীজ তার ভেতরে রোপিত হয়েছিল। একবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পিঠে একটি শিশু বসে আছে- এমন একটি ছবি এঁকে সেবার সবাইকে মুগ্ধ করে অপর্ণা।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ার ক্ষণটি এখনো মনে আছে তার। এরপর বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গিয়েও ছবি আঁকা ছাড়েনি সে। বরং স্কুলের শিক্ষা কারিক্যুলামে ছবি আঁকার বিষয়টিকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয় যে, তাতে তার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। স্কুল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও পুরস্কৃত হয়েছে অপর্ণা। এমনিতে লেখাপড়াতেও বেশ ভালো অপর্ণার ছবিগুলো প্রশংসিত হচ্ছে।

এবার একটি শিশুতোষ বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভেতরের অলঙ্করণের কাজ করেছে এ শিশুশিল্পী। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। অপর্ণার বাবা সাংবাদিক ও c লেখক শামীম আল আমিনের গল্প ‘কাঠবিড়ালীর সাথে আরিশা নিল আড়ি’ বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অনিন্দ্য প্রকাশ’। সেই বইটিরও প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছে অপর্ণা ইবনাত আমিন। বাংলাদেশের মতো নিউ ইয়র্কেও বইটি সাড়া ফেলেছে।

ভবিষ্যতে তুমি কী হতে চাও? এমন প্রশ্নের উত্তরে অপর্ণা জানিয়েছে, এখনো ঠিক করতে পারেনি সেটা। তবে বাবা মা বলেছেন, সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। সেই চেষ্টাই তার থাকবে বলে জানিয়েছে এ শিশুশিল্পী।

ছবি আঁকার পাশাপাশি অপর্ণা ব্যালে নৃত্য ও ভায়োলিন বাজানো শিখছে। অপর্ণার মা ইয়োগা আর্টিস্ট ও লেখক আশরাফুন নাহার লিউজা। তিনি জানিয়েছেন, আমরা চাই এই পৃথিবীতে নিরাপদে ও শান্তিতে থাকুক আমাদের মেয়েটি। যতটা সম্ভব মানুষের জন্য কাজ করুক। যেকাজেই তার আগ্রহ সেটা করুক মন দিয়ে। বাড়তি কোনো চাপ আমরা তার উপর দিতে চাই না।

অপর্ণার জন্ম ২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায়। নালন্দা স্কুলের বন্ধুদের আজও মনে আছে তার। সেই সঙ্গে নিউ ইয়র্কের দুটি স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন দেশের অনেক বন্ধু হয়েছে।

অপর্ণা জানায় নিউ ইয়র্ক খুব ভালো লাগে তার। বিশেষ করে স্নো ফলের দৃশ্য তাকে মুগ্ধ করে। প্রকৃতি তাকে টানে। বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে তার। শিশুমন তাই কখনো কখনো কবিতা লেখারও চেষ্টা করে।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!
SCROLL FOR NEXT