রাজনীতি

‘জামায়াত-আ’লীগ সম্পর্ক ঐতিহাসিক’

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ভারতীয় সংবাদপত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু একটি নির্বাচনী সমঝোতা। এখানে আদর্শের কোনো ব্যাপার নেই।”

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে জামায়াতের সঙ্গে জোটগত সম্পর্ক কোনো বাধা কিনা- এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালেদা বলেন, বিএনপি সব সময়ই ‘নিজস্ব নীতিতেই’ চলবে।

“দেশের জনগণের কল্যাণে প্রতিবেশী দেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করব। বিজেপির সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক জোরদার হবে।”

জামায়াত ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক উগ্র দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি খালেদা।

১৯৯৪ সালে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিলে এইচ এম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন শুরু করে। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি।

পরে ২০০১ সালে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপি নির্বাচনে যায় এবং সরকার গঠন করে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর শুরু করে যুদ্ধাপরাধের বিচার, যাতে একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।     

সাক্ষাতকারে বিএনপি চেয়ারপার্সন ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির বিষয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন। 

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মেয়াদে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি ও স্থল সীমান্ত চুক্তির পথ খোলার কোনো সম্ভাবনাও খালেদা জিয়া দেখছেন না।

তিনি বলেন, “বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের কোনো বৈধতা নেই। দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলার অবস্থানও তাদের নেই। কারো কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনায় তাদের একাই অংশ নিতে হচ্ছে।”

SCROLL FOR NEXT