রাজনীতি

‘জ্বালাও-পোড়াও নেই, তারপরও পুলিশি হামলা’

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার সকালে পল্টনে বামপন্থী দলগুলোর হরতাল সমর্থনের মিছিলে পেপার স্প্রে (ঝাঁঝালো গ্যাস) ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। যাদের মধ্যে খালেকুজ্জামান নিজেও ছিলেন।

এছাড়া বামমোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক ও মোশরেফা মিশুও আহত হয়েছেন।

হরতালের সকালে পুলিশের পেপার স্প্রে মুখে লাগলে খালেকুজ্জামান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে তোপখানা রোডে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পুলিশের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যেখানে এই হরতালে কোনো পিকেটিং (ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও) হয়নি সেখানে পুলিশের এ ধরনের হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণকেই প্রমাণ করে। সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।”

পল্টন ছাড়াও শাহবাগ, লালবাগ, পল্টনসহ সারা দেশে হরতাল সমর্থকদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, “সরকারের পায়ের তলায় মাটি নাই। তাই পুলিশ দিয়ে দমন-পীড়ন করছে।”

হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পেপার স্প্রে ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা চোখ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা নিষিদ্ধ হয়েছে। সেই নিষিদ্ধ জিনিস এখন হরতাল সমর্থকদের ওপর ব্যবহার করা হচ্ছে।”

অবশ্য পল্টন মোড়ে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মেহেদী হাসান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পল্টন মোড়ে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। সকালে হরতাল সমর্থকরা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।”

পেপার স্প্রে ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যারা ফৌজদারি কার্যবিধি লঙ্ঘন করে পুলিশ তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেই।”

এদিকে, সকাল থেকে শাহবাগ, কাকরাইল, সায়েন্স ল্যাব ও এলিফ্যান্ট রোডে যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে।

রমনা থানার এসআই মাহাবুব আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাকরাইল অঞ্চলে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখানে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।”

SCROLL FOR NEXT