রোববার নিজের সরকারি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবেন না। দুর্যোগে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।”
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ‘সামান্য উদাসীনতা’ দেখানো হলে তা সবাইকে ‘মৃত্যু উপত্যকায়’ নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরায় গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কঠোর হতে হবে।
“করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আর কোনোভাবেই উদাসীনতা দেখার সুযোগ নেই। তাই হাটবাজারে, ফেরি, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় গেলে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।”
সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউন কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “জীবনের থেকে জীবিকা কোনোভাবেই বড় নয়, আগে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।”
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির এই করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “ভাসমান অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি।“
সারাদেশে ‘সীমিত আকারে ঘরোয়া ভাবে’ রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোরও পরামর্শ দেন তিনি।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।