রাজনীতি

যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসছে

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা যুবলীগের এই সপ্তম কংগ্রেসে গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছরের জন্য নেতৃত্বে আসেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে সামস পরশ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও গত বছর ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক; সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ। এরপর সংগঠনটির অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে কারাগারে আছেন। অনেকেই সংগঠন ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রায় সাত বছর আগে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছিলেন। সেই কমিটির নেতাদের অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা অপরাধে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা আমাদের সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। বাকি ছিল শুধু যুবলীগ। আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে আমরা যুবলীগের কমিটি দিয়ে দেব।”

সাত বছর পরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কেমন নেতৃত্ব আসছে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংগঠনের প্রতি আনুগত্য, ত্যাগী, পরীক্ষিতদের আমরা খুঁজে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়ার চেষ্ট করেছি।”

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত কেউ এই কমিটিতে স্থান পাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যাসিনোকাণ্ড থেকে শুরু করে কোনো অপরাধীকেই আমরা কমিটিতে স্থান দেইনি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে এমনদেরই কমিটিতে রাখতে।”

দুদিন আগে যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ।

তিনি বলেন, “যে কোনো মুহূর্তে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের যুবলীগে কোনো জায়গা হবে না।”

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস হলেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সম্মেলন এখনও হয়নি। এদিকে ক্যাসিনোকাণ্ডে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ অনেকেই কারাগারে আছেন।

SCROLL FOR NEXT