রাজনীতি

মির্জা ফখরুলের বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

শনিবার বিকালে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী এসএম জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে উত্তরা ৪ নম্বরের সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে মির্জা ফখরুলের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে কিছু কর্মী বিএনপি মহাসচিবের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বাসার বেশ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।

এ সময় বাসা লক্ষ্য করে ডিমও ছুঁড়ে মারা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

ঘটনার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাসায় ছিলেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি।

উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, খিলক্ষেত ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে যুব দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। 

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদসহ নয়জন এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কফিল উদ্দিন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হলেও তার বাড়ি উত্তরায়, সেখানে তার বংশের লোকজন রয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিনও সেখানে জাহাঙ্গীর ও কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন।

শনিবারের এই হামলায়ও কফিল উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য সরকারের দিকে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, এতে ‘সরকারের এজেন্টদের’ মদদ রয়েছে।

রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সন্ধ্যায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ঘটনাটির পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি।”

‘উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত’ ব্যক্তিরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার ক্ষতিসাধন করেছে জানিয়ে এতে বলা হয়, “বর্তমানে সারা দেশে খুন, গুম, নারী ও শিশু নির্যাতনের যে মহামারী চলছে তার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সরকারের এজেন্টরা এই হামলা চালিয়েছে। সভা এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।”

লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সাপ্তাহিক ভার্চুয়াল এই বৈঠক হয়। এতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT