অগাস্টের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ আয়োজিত মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন অনেক আগেই হয়েছে।
“বঙ্গবন্ধুর ১৫ অগাস্টের কাণ্ডে যারা জড়িত, যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যারা পিছন থেকে মদদ দিয়েছে, হত্যাকারীদের যারা এই দেশে পুনর্বাসিত করেছে, বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে, ইনডেমনিটি আইন জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল, সে জিয়াউর রহমান।
“কিন্তু যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে কেক কেটে যারা ভুয়া জন্মদিবস পালন করে, তাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক কীভাবে হয়, আমি জানি না।”
অন্য জন্মদিনের খবর মিললেও ১৫ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালনের সমালোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “১৫ অগাস্ট, ২১ অগাস্টের মতো ঘটনার পরেও বিভিন্ন দলের সঙ্গে একটা কর্ম সম্পর্ক আমরা রাখতে চাই, রাখছি তার প্রমাণ আছে।
“তবে আমাদের আবেগে, আমাদের অনুভূতিতে রক্তক্ষরণ হয়। আমি এখনও বলছি, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকে নিয়ে আপনারা উপহাস করে যারা ভুয়া জন্ম দিবস পালন করেন, এই ভুয়া দিবস বন্ধ না করলে, এই দেশের রাজনীতিতে আপনাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক গড়ে তোলা আমাদের পক্ষে কঠিন।”
অগাস্ট মাস এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “আমরা এক দিকে হারানোর বেদনা আবার নতুন করে হারানোর আশঙ্কায় আমাদের মধ্যে শিহরণ সঞ্চার করে।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।