রাজনীতি

বিএনপির বিরুদ্ধে ‘কল্পিত’ মামলা তদন্তে কমিশন চেয়ে রিট

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

খন্দকার মাহবুব বিএনপির ভাইস চেয়ার‌ম্যান, নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সানাউল্লা মিয়া দলটির আইন সম্পাদক।

চলতি মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে রিট আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘কল্পিত’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই ধরনের ‘কল্পিত’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে রিট আবেদনটিতে।

রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে এবং এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি (যার মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখা) গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়াও রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এসব মামলার তদন্ত থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনে।   

রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কল্পিত মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধীদলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।

“এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।”

“এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এসব মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে আবেদনে।”

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

ড. কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এ মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন খন্দকার মাহবুব।

SCROLL FOR NEXT