লাল-সবুজে তৈরি পোশাক গায়ে, আর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় লাখো মানুষ।
বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ফটকের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।
বিজয় শোভাযাত্রায় জাতীয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকার পাশাপাশি হাতি, ঘোড়ার গাড়ি ও দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ আসেন মুক্তিযোদ্ধার সাজে।
শোভাযাত্রার আগে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ কারা? আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতৃত্বে জয় বাংলা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। জয় বাংলা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপির সাথে লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও বিজয়ী হব। বিজয়ের পতাকা উড্ডীন হবে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, কুতুবদিয়া থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয়বাংলা’কে যারা অস্বীকার করে, ধারণ করে না এবং উচ্চারণ করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ।আজকে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। আবার ঐক্যবদ্ধ হব।”
“আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাতারবন্দী হয়ে শপথ নিই- অগ্নিসন্ত্রাস, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলব।”
মঞ্চে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান আসে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়া্মী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।
এর আগে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি এবং পরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।