রাজনীতি

রূপকল্প দেওয়া দেশের জন্য ভালো: অর্থমন্ত্রী

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

তিনি বলেছেন, “আই থিংক, দিস ইজ গুড, এটা তো দেশের জন্য ভালো।”

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম সম্পাদকদের সঙ্গে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর এমন মন্তব্য আসে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তার এই ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন। ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সালে মধ্যে বিএনপি কী কী করতে চায়, সেই বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে তার এই রূপকল্পে।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির ওই রূপকল্পকে ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতির ফাপানো রঙিন বেলুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

প্রতিক্রিয়া দিতে এসে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই বেলুন অচিরেই চুপসে যাবে। এটা জাতির সাথে একটি তামাশা ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার এই ‘ভিশন ২০৩০’ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ‘রূপকল্প ২০২১’ এর অনুকরণ। খালেদার ভাবনায় নতুন কিছুই তিনি পাননি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বিএনপির রূপকল্প নিয়ে মুহিতের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি এখন এ বিষয়ে কমেন্ট করব না। পুরো স্টেটমেন্ট এখনও আমি পাইনি। প্রত্যেক কাগজ পুরো স্টেটমেন্ট দেয়নি। আমি আটটি কাগজ পড়েছি।”

“এটা পাওয়া সহজ, জানি আমি, প্রত্যেকবার আমি তার অফিস থেকে পাই, নিয়ে আসি, এবারও তাই করব।”

খালেদা জিয়ার যেসব লক্ষ্যের কথা সংবাদপত্রে এসেছে, সেগুলোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা তো দেশের জন্য ভালো, ইউ হ্যাভ অ্যা প্রোজকেশন বাই এন ইমপরটেন্টে পলিটিক্যাল পার্টি।”

সরকারে গেলে প্রধানমন্ত্রীর ‘একক নির্বাহী ক্ষমতা’য় ভারসাম্য আনার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাংবিধানিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে খালেদার ‘ভিশন ২০৩০’ এ।

তিনি বলেছেন, “নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার, অর্থ্যাৎ একটি যথার্থই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে” এই ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন করা হবে।

SCROLL FOR NEXT