রাজনীতি

মাজার নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রে’ নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে সরকার: বিএনপি

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

সোমবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়। তবু এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কেবল মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের মাজারটি সরানোর চক্রান্তের নীলনকশা করছে।

“আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, জনগণ সরকারের এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর ষড়যন্ত্র সকল শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে।”

জিয়ার কবর সরানোর ‘ষড়যন্ত্র’ যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করার ঘোষণাও দেন তিনি।

সরকার কবর সরানোর উদ্যোগ নিলে কর্মসূচি কী হতে পারে- জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “এখন যে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি সেটাই আমরা বলছি। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করলে তখন আমাদের দলের নীতিনির্ধারকরা কর্মসূচি ঠিক করবেন।”

মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের করা সম্প্রতি জাতীয় সংসদের দেশে আনা হয়েছে। মূল নকশা পাওয়ার পর সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবরসহ নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো সরানোর কথা জানিয়েছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।

দেশে আনা নকশাটি আসল কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রিজভী।

“সরকার প্রায় চার লাখ মার্কিন ডলার, তিন কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা সংগ্রহ করেছে। এটাই যে লুই আই কানের তৈরি মূল নকশা তা আমরা জানি না, জনগণও জানে না।”

মূল নকশার বাইরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ন্যাম ভবন, সংসদ ভবনের চারদিকে লোহার সীমানা প্রাচীর, র‌্যাবের কার্যালয়, স্কুলসহ অনেক স্থাপনা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।

রিজভী বলেন, “মেট্রো রেল প্রকল্পও লুই আই কানের নকশার ভেতর দিয়ে স্থাপন করা হবে বলে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা দেশবাসীর অজানা নয় যে, মূল নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের নামে সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স এখান থেকে উচ্ছেদ করা।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, গৌতম চক্রবর্তী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মুনির হোসেন।

SCROLL FOR NEXT