রাজনীতি

এরপরও একজন ভদ্রলোক কী করে যাবে: বিএনপি

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে না যাওয়াকে ‘সঠিক’ আখ্যা দিয়ে রোববার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যাখ্যা দেন সদ্য কারামুক্ত এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, “দুই দিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অশ্লীল ভাষায় যে আক্রমণ করা হয়েছে, আমাদের ১৯ মার্চের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে যে আচরণ করেছে সরকার, যেভাবে সারা দেশে নেতাকর্মীদের ওপর উৎপীড়ন-নির্যাতন চলছে।

“এরপরও একজন ভদ্রলোক কি করে তাদের কাউন্সিল গিয়ে বক্তব্য রাখবেন, যদি তার ন্যূনতম মেরুদণ্ড থেকে থাকে।”

রিজভীর মতে, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে, গণতান্ত্রিক সমাজ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সক্রিয় থাকলে ‘না যাওয়াটা ঠিক হতো না’।

“তাদের কাউন্সিলে আমাদের প্রতিনিধি যে যায়নি- এটা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই আমি মনে করি।”

গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

পরদিন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনে তার অংশ নেবে বলে জানালেও শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ‌্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি দলকে দেখা যায়নি।

ঢাকার একাধিক নাশকতার মামলায় গত ১৯ অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুরের কারাগার থেকে মুক্তি পান রিজভী। রোববার নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিএনপি কেন যায়নি- জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কোনো পরিবেশ নেই। তাহলে কী করে তাদের কাউন্সিলে গিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা জানাবেন।

“আমরা একটা আত্মমর্যাদশীল রাজনৈতিক দল, আমরা গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদিত। আজকে যদি ন্যূতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকতো, নিশ্চয়ই বিএনপির নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যেতেন।”

কাউন্সিলের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, “এখানে যেভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে যে কোনো স্তরের মানুষ বলবেন, এখানে কোনো ন্যায্যভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি। এখানে বিশাল দুর্নীতির মাধ্যমে এই কাউন্সিল করা হচ্ছে “

কারাবন্দী দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সব বিএনপির সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও সাইফুল ইসলাম পটু উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT