অভিমত

সাইবার সন্ত্রাস ও ‘সিপি গ্যাং’ সমাচার

Byআইরিন সুলতানা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন মতবিনিময় আয়োজনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলার ছোঁয়ার আশা দিয়েছেন। জয়ের ভাষ্যে মোবাইল অ্যাপ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে সরকারের আগ্রহের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সরকার এ কাজে ডেভলপারদের উদ্বুদ্ধ করতে 'জাতীয় মোবাইল অ্যাপ পুরস্কার' আয়োজন করে ১৫ জনকে পুরস্কৃত করে এ বছরই। বছরজুড়ে মোবাইল অ্যাপ নিয়ে নানাবিধ কর্মসূচির সরকারি পরিকল্পনাও দেখা যায়।

উন্নয়নমুখী পরিকল্পনায় 'দ্রুত' আয়-সূচক বৃদ্ধিতে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার তার অনেকগুলোই নিয়েছে সরকার। যদি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে 'নির্মাতা' ও 'উদ্ভাবক' গড়তে চায় তারা, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় নিয়মিত অনুদান থাকা চাই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা-ক্ষেত্র অনুদানশূন্যতায় ভুগছে। এ প্রেক্ষিতে উদ্ভাবনী কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য অতিসম্প্রতি সরকার সাড়ে ৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিলে চমৎকৃত হতে হয়।

চমক দীর্ঘস্থায়ী হয় না যখন অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকায় 'সিপি গ্যাং লিমিটেড' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিতে দেখা যায়। শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অবকাঠামোগত কারণে এখনও আমাদের দেশটি দুর্নীতিমুক্ত নয়। ১০০ কোটি ডলার আয়ের এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প অনেকের 'গোপন' পকেটের আয় বাড়িয়ে দেবে এমনটা তাই অনুমেয়। রাষ্ট্রীয় অর্থ এমন পদ্ধতিগতভাবে 'অপাত্রে' দান করা হলে সচেতন নাগরিক হিসেবে শঙ্কিত হতে হয়।

১০০ কোটি ডলার আয়ের তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প অনেকের 'গোপন' পকেটের আয় বাড়িয়ে দেবে এমনটা অনুমেয়

তালিকায় থাকা শিক্ষক, উন্নয়ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি প্রতিষ্ঠানের নামের পাশে 'সিপি গ্যাং লিমিটেড' নামটা বেমানান। যারা অনলাইন জগতে বাংলা ব্লগ ও ফেসবুকের বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখেন তাদের কাছে সিপি গ্যাং ও এর পরিচালকদের নাম পরিচিত। সিপি অর্থ 'ক্রাক প্লাটুন' বলা হলেও অশ্লীল শব্দচয়নে এরা অভ্যস্ত বলে এদের বহুলপ্রচলিত নাম হচ্ছে, 'ছাগু পোন্দানি গ্যাং'। বাংলা ব্লগের গোঁড়ার দিকে অনলাইনে জামায়াতমনস্কদের 'ছাগু' নামকরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেবল রাজনৈতিক নেতারাই যে ফায়দা নেন তা নয়, অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, রাজাকার-বিরোধী এসব পরিচয়ের আড়ালে জমে উঠেছে কিছু বিকৃতমনস্ক লোকের কাজ-কারবার।

এক সময় বাংলা ব্লগে সিপি গ্যাংএর আদলে 'এ-টিম' নামে আরেকটি সিন্ডিকেট বিচরণ করত। সুস্থ ব্লগিং ও প্রাজ্ঞ যুক্তিচর্চার বদলে এই দল বরাবর অশ্লীল শব্দ ও গালাগালি বেছে নিয়েছিল। অনলাইনে নারীদের নিয়মিত যৌনহয়রানি করার বিস্তর নজির ছিল সে সময়। সবচেয়ে লজ্জাকর ছিল, মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে পর্নোগ্রাফি সাইটের প্রচারণা চালানো। একদিকে মুক্তিযুদ্ধে ৪ লাখ নির্যাতিত নারীর জন্য ক্রন্দন, অন্যদিকে পর্নোসাইটে গোপনে ধারণকৃত ভিডিও আপলোড ও নোংরা চটিগল্পের চর্চা। অনলাইনে গঠনমূলক মতপ্রকাশ ও সুস্থ প্রতিবাদধারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এ সব মনোবৈকল্যে-ভোগা ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট।

সময়ের ফেরে নিজ নিজ স্বার্থদ্বন্দ্বে ওই সিন্ডিকেটের অনেকেই এদিক-সেদিক হলে, 'সিপি গ্যাং' নামে আরেকটি সিন্ডিকেট পুনরায় তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ব্যানারে অশ্লীলতা-চর্চায় উস্কানি যোগাতে শুরু করে। এই সিন্ডিকেটে থাকা অনেকের অতীত ইতিহাস কলুষিত। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে অবস্থান করছে। অনেকে ছদ্মনামে বিচরণ করলেও সে সব পরিচয় ফাঁস হয়েছে। এদের চেহারাও এখন প্রকাশিত। গ্যাংএর সঙ্গে জড়িত কারও কারও প্রবাসকালের ক্রিমিনাল রেকর্ড অনলাইনে ছড়িয়ে গেছে।

অনলাইনে গঠনমূলক মতপ্রকাশ ও সুস্থ প্রতিবাদধারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এ সব মনোবৈকল্যে-ভোগা ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট

এত কিছুর পরও সিপি গ্যাংএর সদস্য ও সমর্থকদের বিচরণ জারি রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠ-পর্যায়ে তাদের তৎপরতা দেখা যায়। তবে এমনধারা কাজেই কেবল সিপি গ্যাং কিংবা এর সদস্যরা সীমিত নয়। যারা চোখ-কান খোলা রাখেন, তারা দোয়েল ল্যাপটপ প্রজেক্টের বিষয়ে সিপি গ্যাং সদস্যদের লবিং চালানো ও পরে অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন। কেন এ নিয়ে জোরালো সংবাদ-প্রতিবেদন, আইনি ব্যবস্থা ও তদন্ত হচ্ছে না সেটাই সন্দেহজনক।

বুঝতে অসুবিধা নেই যে, প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ার সুবাদে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোতে কুনজর রেখেছে সিপি গ্যাং। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তাদের জন্য মিলল ৪ লাখ টাকার সরকারি অনুদান। সিপি গ্যাং লিমিটেডের অন্যতম সদস্য রাসেল রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, তারা ট্রাফিক সিস্টেমের লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে ইনোভেটিভ ফান্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিভিন্ন খাতের তরুণ উদ্যোক্তারা যখন হতাশ হচ্ছেন, তখন সিপি গ্যাং লিমিটেড মোবাইল অ্যাপ তৈরির জন্য অনায়াসে ৪ লাখ টাকা অনুদান পেয়ে যায়! যেখানে এদের রেজিস্ট্রেশন, কার্যালয় ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সিপি গ্যাংএর একটি ফেসবুক পাতা রয়েছে (https://www.facebook.com/CpGangPage?fref=ts) এবং একটি ওয়েবসাইটের (http://www.crackplatoon.com/) অস্তিত্বও পাওয়া যায়। তবে এ সাইট মূলত ফেসবুক পাতাটি প্রদর্শন করছে। নির্বাচকেরা 'ইনোভেটিভ' পরিকল্পনার চৌর্যবৃত্তি (plagiarism) ও মৌলিকতাই-বা কীভাবে নির্ধারণ করেছেন? তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নির্বাচক কমিটি কি অনলাইনে সিপি গ্যাংএর অরাজক কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত নন?

অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ছাড়াও সিপি গ্যাংএর বিরুদ্ধে প্রণিধানযোগ্য অভিযোগ হচ্ছে, নারীদের যৌনহয়রানি। যদিও পুরুষরাও এদের উগ্র আক্রমণের শিকার হচ্ছেন প্রায়ই। কেউ এই গ্যাংএর বিরুদ্ধচারণ করলেই তাকে জামায়াতি বলে প্রচার করে হয়রানি শুরু হয়। কুরুচিপূর্ণ গ্রাফিক্স তৈরি, কুৎসা রটানো, হুমকি প্রদান– এসব অভিযোগ রয়েছে সিপি গ্যাংএর বিরুদ্ধে।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছাড়াও সিপি গ্যাংএর বিরুদ্ধে প্রণিধানযোগ্য অভিযোগ হচ্ছে, নারীদের যৌনহয়রানি

সম্প্রতি নারী-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রধান সুপ্রীতি ধর ও তার কন্যাকে নিয়ে ঘটে গেছে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। পহেলা বৈশাখে নারীর প্রতি যৌনহয়রানিমূলক ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশে পুলিশ কর্তৃক একজন নারী অশোভনভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এ ঘটনায় পুলিশের সাফাই গেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সুপ্রীতি ধর এর প্রতিবাদ করলে সিপি গ্যাং সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সদস্য অনলাইনে তাকে আক্রমণ করে। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে ফেইক এ্যাকাউন্ট তৈরি, পর্নোগ্রাফি পর্যায়ের আপত্তিকর গ্রাফিক্স পোস্ট ও সুপ্রীতি ধরের কন্যাকেও যৌনআক্রমণ করা হয়। ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করলে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সিপি গ্যাং এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষদের মাঝে প্রগাঢ় সখ্যতা রয়েছে যা সিপি গ্যাংকে বেপরোয়া হতে মদদ দিচ্ছে।

সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিপ্রায়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও পর্নোগ্রাফি আইন করেছে। সম্প্রতি সাইবার আইনের খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে অনলাইনে কুৎসা হলে যেমন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, নিশ্চয়ই অপরাপর নাগরিকেরাও তেমন হয়রানি ও হুমকির শিকার হলে আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে ভিকটিম যদি অনুভব করেন যে, হুমকিদাতা বা হয়রানিকারী সরকারেরই কারও কারও আশীর্বাদপুষ্ট, তবে সরকার ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখা তার পক্ষে কঠিন।

ফেসবুকে উস্কানিমূলক পাতায় লাইক দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সম্প্রতি জানিয়েছে সরকার। সাইবার সেল টিম অনলাইনে অপরাধমূলক অ্যাকটিভিটি মনিটর করে বলে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে। অথচ তারাই কিনা অনলাইনে ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি পরিচালনাকারী একটি গ্যাংকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে কাজ চালাতে উদ্বুদ্ধ করছে! সাইবার মনিটরিং টিমের কাছে সিপি গ্যাং-সম্পর্কিত তথ্যাদি না থাকার কি কোনো কারণ রয়েছে?

সিপি গ্যাং মূলত অন্ধ আওয়ামী লেবাস গায়ে চড়িয়ে অনলাইনে নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পগুলো থেকে অর্থলোপাটের চাতুর্যপূর্ণ আইডিয়া নিয়ে এগুচ্ছে তারা। সরকার-সমর্থক হওয়ায় এ সব সুযোগসন্ধানী ও অপরাধীদের না চেনার মতো অপরিপক্কতা আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে খাটে না।

তবে জামায়াত-কর্মীদের যখন দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে দেখা যায়, তখন তাদের পতাকাতলে সিপি গ্যাং লিমিটেডের প্রতিপালনও অস্বাভাবিক ঠেকে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক শুভকাঙ্ক্ষী পরামর্শ দেন তাঁর আশেপাশের ব্যক্তিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে; একই পরামর্শ সজীব ওয়াজেদ জয়ের বেলাতেও খাটে।

একই পরামর্শ সজীব ওয়াজেদ জয়ের বেলাতেও খাটে

সরকার যদি উদ্ভাবনী কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়, তবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরজুড়ে যে সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজিত হয়, সেখানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনাকারীদের উপস্থিতি জরুরি। প্রতিটি কনফারেন্সে দুশ থেকে পাঁচশ 'কনফারেন্স পেপার' স্থান পায়। আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পেপারগুলো সীমিত পরিসরে থেকেও অসীমতার আভাস দেয়। মেঘজাল প্রযুক্তি (ক্লাউড), নেটওয়ার্ক, বাংলা কি-বোর্ড, ই-গভর্নেন্স, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, ইমেইজ প্রসেসিং, মোবাইল হেলথ সার্ভিস, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, ট্র্যাফিক সিস্টেম– এমন বহুবিধ বিষয়ে অগণিত গবেষণাপত্র রয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের।

সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেই কেন একবার উপস্থিত হন না এমন কোনো কনফারেন্সে? একই কথা প্রযোজ্য উদ্ভাবনী তহবিলের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বেলাতেও। তাঁরাও এমনধারা উদ্যোগ নিতেই পারেন।

এই মুহূর্তে যুক্তিযুক্ত হচ্ছে, সিপি গ্যাং লিমিটেডকে দেওয়া অনুদান বাতিল করে এর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। ভুইফোঁড় একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে এত টাকা অনুদান হিসেবে তুলে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হুমকির মুখে। সরকার ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ব্রত নিয়েও যদি সাইবার জগত হয়রানি ও অপরাধমুক্ত রাখতে না পারে, তবে সে পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই যদি সাইবার সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকে তাহলে বুঝতে হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুযোগের অপব্যবহার করতে সিপি গ্যাং নামের যে সাইবার ক্রিমিনালরা সক্রিয় রয়েছে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে খোদ সরকার!

SCROLL FOR NEXT