প্রতিবেশী

ভারতে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে

Byনিউজ ডেস্ক

ভারতজুড়ে লকডাউন শেষ হওয়ার পাঁচ দিন আগেই মঙ্গলবার থেকে প্রথমধাপে সীমিত পরিসরে ফের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, ২৫ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ থাকা যাত্রী পরিবহন ১৫টি ‘বিশেষ’ ট্রেনের মাধ্যমে শুরু করা হবে। 

রেলওয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা থেকে টিকেট বুকিং দেওয়া শুরু হবে। শুধু ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেইটারিং এন্ড টুরিজম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকেট বুকিং দেওয়া যাবে। এজেন্টের মাধ্যমে কোনো টিকেট বুকিং দেওয়া যাবে না। সব স্টেশনের টিকেট কাউন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

দিল্লি থেকে আসাম, বাংলা, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, জম্মু, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা ও ত্রিপুরারসহ ভারতের ১৫টি শহরের মধ্যে ১৫ জোড়া ট্রেন চলবে। 

কনফার্ম করা বৈধ টিকেটসহ শুধু যাত্রীরা দিল্লি স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে। সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হবে, কোনো রকম অসুস্থতার লক্ষণ না থাকলেই শুধু ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। যাত্রীদের সর্বক্ষণ সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।

প্রত্যেক ট্রেনে এসি কামরা থাকবে এবং স্টপেজ সীমিত হবে। ট্রেনের সময়সূচী সংক্রান্ত বিস্তারিত যথাযথ সময়ে জানানো হবে।

রেলওয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই ট্রেনগুলো বিশেষ ট্রেন হিসেবে চলাচল করবে এবং নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও, মুম্বাই সেন্ট্রাল, আহমেদাবাদ ও জম্মু তাওয়াইয়ে যাতায়াত করবে।”

বগি পাওয়া গেলে আরও ‘বিশেষ’ ট্রেন চালু করা হবে বলে রেলওয়ে জানিয়েছে।

ভারতে মার্চ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি ট্রেনের বগি কোভিড-১৯ আক্রান্তদের আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরও কয়েক হাজার বগি বিভিন্ন রাজ্য আটকা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রিজার্ভ করা হয়েছে এবং এসব ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করছে।

আগামী ১৭ মে ভারতজুড়ে জারি থাকা লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। 

সোমবার সকালে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ করা তথ্যানুযায়ী, ভারতে কেভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৬১ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ২১২ জন।

SCROLL FOR NEXT