প্রতিবেশী

মুক্তি পাচ্ছেন সাত মাস ধরে আটক ফারুক আবদুল্লাহ

Byনিউজ ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র বিভাগ শুক্রবার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে একথা জানিয়েছে।

গতবছর ৫ অগাস্টে ভারত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকেই বন্দিদশায় রাখা হয় ফারুক আবদুল্লাহকে। জননিরাপত্তা আইনে কোনো ব্যক্তিকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়।

৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লাহর পাশাপাশি একই সময় থেকে আটক করে রাখা হয়েছে তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি সহ কাশ্মীরের আরও বহু রাজনৈতিক নেতাকে।

আবদুল্লাহ এখন মুক্তি পেতে চললেও বাকীরা এখনো আটক বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

ফারুক আবদুল্লাহ তিন বার জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে তিনি পাঁচবার পার্লামেন্ট সদস্যও হয়েছেন। এ মুহূর্তেও লোকসভার সদস্য তিনি।

ফারুক আবদুল্লাহর মুক্তির ঘোষণা আসার পর তার মেয়ে ট্যুইটে লিখেছেন, “আমার বাবা এখন আবার মুক্ত মানুষ।”

সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সময় সেখানে জারি হয়েছিল নানা নিষেধাজ্ঞা। ওই সময়ই ফারুক আবদুল্লাহর উপর জননিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বিরোধীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও ছাড়া হয়নি ফারুককে। বরং ডিসেম্বরে তাকে আটক রাখার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।

অবিলম্বে ফারুক আবদুল্লাহর মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি ৮টি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানায়। অন্যান্যদের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে তারা। এরপরই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ফারুককে মুক্তি দেওয়ার কথা জানাল।

SCROLL FOR NEXT