প্রতিবেশী

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস

Byনিউজ ডেস্ক

এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হল এ প্রস্তাব পাস করানো চতুর্থ রাজ্য। এরপর তেলঙ্গানাও এ প্রস্তাব পাস করাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাবে বলা হয়, ধর্মের ভিত্তিতে এ আইন তৈরি হয়েছে। সেকারণে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে। বাম ও কংগ্রেস পার্টি আগেই জানিয়েছিল, তারা সিএএ বিরোধী প্রস্তাব সমর্থন করবে। শেষে তাদের সমর্থনেই প্রস্তাব পাস হয়।

দীর্ঘদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন মমতা। সিএএ নিয়ে তার আপত্তির কথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জানিয়েছিলেন তিনি। সিএএ কিছুতেই প্রত্যাহার করা হবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা প্রস্তাবটি পাসে বদ্ধপরিকর হন।

এনডিটিভি জানায়, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, “আমাদের রাজ্যে সিএএ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) আর জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (এনপিআর) করার অনুমতি দেব না। মানুষ আতঙ্কে আছেন। সব ধরনের নথির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান হচ্ছেন। এ লড়াই শুধু সংখ্যালঘুদের না। আমার হিন্দু ভাই-বোনেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, ওরা সামনে থেকে এ লড়াইটা লড়ছেন।”

শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন জারি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তাছাড়া, নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, "সিএএ অনুযায়ী মানুষ বিদেশি হিসাবে চিহ্নিত হবেন। এটি ভয়ঙ্কর খেলা। তাই ওদের (বিজেপি) ফাঁদে পা দেবেন না।”

ভারত সরকার গতবছর ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) করার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের আগুন জ্বলে উঠেছে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গিয়ে ভারতে শরণার্থী হওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে করা হয়েছে সিএএ। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে এ আইনে। তবে মুসলিমরা এতে না থাকায় আইনটি সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনা হয়ে আসছে।

ভারতজুড়ে সিএএ’র পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে এখনো আন্দোলন তুঙ্গে। বিভিন্ন রাজ্য এ আইন কার্যকর না করার ঘোষণা দিচ্ছে।

SCROLL FOR NEXT