প্রতিবেশী

‘হিন্দুত্ববাদী সংস্থা সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশকে হত্যা করেছে’

Byনিউজ ডেস্ক

শুক্রবার কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বেঙ্গলুরুর দায়রা আদালতে ৯,২৩৫ পৃষ্ঠার অতিরিক্ত একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়; এতে লঙ্কেশকে হত্যার জন্য সনাতন সংস্থার একটি নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হয়েছে বলে খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকার।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে লঙ্কেশের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না এবং লঙ্কেশের হত্যা একটি সাংগঠনিক অপরাধ বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। 

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লঙ্কেশকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করা হয় বলেও এতে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ফরেনসিক প্রতিবেদন, উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র, ডিএনএ প্রতিবেদন, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে হত্যাকাণ্ডে মোট ১৮ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এদের মধ্যে ১৬ জনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দুজন পলাতক। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৮ জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।

বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এস বালান পিটিআইকে বলেছেন, “নিহতের সঙ্গে হত্যাকারীদের কোনো ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো ধরনের শত্রুতা ছিল না। কিন্তু কেন তাকে হত্যা করা হল? কারণ তিনি ভিন্ন আদর্শে বিশ্বাসি ছিলেন, তা নিয়ে লেখালেখি করতেন ও বক্তব্য দিতেন। তাই ওই সংগঠনের লক্ষ্যে পরিণত হন তিনি।”

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আরও তদন্ত হওয়ার দরকার উল্লেখ করে এর জন্য আদালতের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেছে সিট।

মে মাসে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রথম অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছিল সিট। 

৫৫ বছর বয়সী লঙ্কেশ তার বামপন্থি চিন্তাধারা ও কট্টর হিন্দুত্ববাদবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।

এর পরপরই কর্নাটকের তৎকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জন্য সিট গঠন করে। 

গ্রেপ্তারদের মধ্যে হত্যাকারী পরশুরাম বাঘমারে, প্রধান পরিকল্পনাকারী অমল কালে রয়েছেন বলে সিটের সূত্রগুলো পিটিআইকে জানিয়েছে।

SCROLL FOR NEXT