প্রতিবেশী

শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আদালতে রাজনৈতিক দলগুলো

Byআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মাসখানেক ধরে দেশটির রাজনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আর জটিল আকার ধারণ করছে।

প্রধান তিন দলসহ মোট ১০টি রাজনৈতিক দল সোমবার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

প্রধান তিন দল হল: বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি), প্রধান বিরোধীদল তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ), বামপন্থি জেভিপি বা পিপুলস লিবারেশন ফ্রন্ট (জেভিপি)। অন্যান্য ছোট দলগুলোও পিটিশনে সমর্থন দিয়েছে।

ইউএনপি, টিএনএ এবং জেভিপি শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। দলগুলো সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রেসিডেন্টের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের এক কর্মকর্তা বলেন, “আজ (সোমবার) সকালে আদালত পিটিশন গ্রহণ করেছে। শুনানির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন।”

আরও কিছু সামাজিক সংগঠন এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র ব্যক্তিও প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করতে আদালতে আলাদাভাবে পিটিশন করেছে।

এর আগে রোববার পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়াসুরিয়া সরকারি কর্মচারীদের কাছে প্রেসিডেন্টের ‘অবৈধ আদেশের’ বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

সিরিসেনা বিরোধীদের দাবি, পার্লামেন্টের পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে সাড়ে চার বছর অতিবাহিত না হলে প্রেসিডেন্টের তা ভেঙে দেওয়ার আইনি অধিকার নেই। ভেঙে দেওয়া বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ ২০২০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত।

গত ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহ ও তার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে চলমান ঝড়ের শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা বরখাস্ত কারার পাশাপাশি পার্লামেন্ট স্থগিত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। শুধুমাত্র চীন নতুন প্রধামন্ত্রীকে স্বীকৃতি দেয়।

পার্লামেন্ট তার পক্ষে আছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর পদ না ছাড়ার ঘোষণা দেন বিক্রমসিংহ।

বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে সিরিসেনা সমর্থিত রাজাপাকসের সরকার পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হচ্ছে, এমনটা স্পষ্ট হওয়ার পরপরই গত শুক্রবার  প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

SCROLL FOR NEXT