প্রতিবেশী

ভারতের রাজ্যসভা থেকে মালিয়ার পদত্যাগ

Byনিউজ ডেস্ক

বিবিসি বলছে, ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত ও অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে মালিয়ার প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আর্থিক ঋণ রয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে তিনি ভারত ত্যাগ করেন এবং ধারণা করা হয় বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

ভারতীয় আদালত মালিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর গেল মাসে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মালিয়ার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে।

পাশাপাশি তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়।

অবশ্য মালিয়া তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বিষয়টিকে ‘গণমাধ্যমের ডাইনি শিকার’ অর্থাৎ যড়যন্ত্রের বলি বলে অভিহিত করেছেন।

মালিয়ার মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি (মালিয়া) ভারতীয় পার্লামেন্টের রাজ্যসভা (উচ্চ কক্ষ) থেকে পদত্যাগ করেছেন।

রাজ্যসভার নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক কমিটি মালিয়ার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাবি করার একসপ্তা পর তিনি পদত্যাগ করলেন। ওই কমিটি মালিয়ার বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ উল্লেখ করে তার রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজেরও সুপারিশ করে।

অভিযোগ রয়েছে, কিংফিশার এয়ারলাইনসের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে মালিয়া বার বার তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে ব্যর্থ হন।

২০১৩ সালে কিংফিশার এয়ারলাইন্স ব্যবসা পুরোপুরি ধসে পড়ে।

মার্চে মালিয়া ট্যুইটারে লিখেন, তিনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী যাকে সবসময় ভ্রমণ করতে হয়। তিনি ভারত থেকে পালিয়ে গেছেন এই অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন।

SCROLL FOR NEXT