লাইফস্টাইল

মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ওজন হ্রাস

Byলাইফস্টাইল ডেস্ক

আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমানোর সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকে হ্রাস পায়। আর তা হল কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার।

ছোট বড় সব বয়সের মানুষের মাঝেই বেড়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ওজন কমানো ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

জেএনসিআই ক্যান্সার স্পেক্ট্রাম জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, সামান্য পরিমাণ ওজন হ্রাস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।

‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’ মনে করে, ওজন হ্রাস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

১৭ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর প্রোস্টেট, ফুসফুস এবং ডিম্বাশয় ক্যান্সারের গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, গবেষণাকালীন পাঁচ বছরের মধ্যে যাদের ওজন হ্রাস পেয়েছে তাদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ কম ছিল।

গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বৃদ্ধি ‘অ্যাডেনোমাস’ নামে পরিচিত এবং ক্যান্সার বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

কোলোনোস্কোপি স্ক্রিনিংয়ের সময় এগুলো সারানো হয় যেন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

গবেষকরা দেখেছেন ১.১ পাউন্ডের মতো ওজন কমানোও আংশিকভাবে কাজ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের ওজন ছয় পাউন্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল তাদের ‘পলিপস’ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ বেশি ছিল।

ওজন কমানো পরিমাপ করা

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ লক্ষ্য করেছে যে, ‘কোলেক্টরাল ক্যান্সার’ পুরুষ ও নারীদেরমধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার আর গত ২০ বছরে এর মাত্রা হ্রাস পেয়েছে।

অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, এটি সম্ভবত স্ক্রিনিংয়ের কারণে হয়েছে। গবেষকদের মতে কোলোনোস্কোপিগুলো ৫০ বছরের পরিবর্তে ৪৫ বছর বয়সে শুরু করা উচিত। এতে ঝুঁকি আরও হ্রাস পাবে।

ক্যান্সার গঠনের এই হার সকল গোষ্ঠীতে এক নয়। ‘টেক্সাস ইউনিভার্সিটি’র ‘এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার’য়ের কোলন এবং রেক্টাল সার্জারি বিভাগের ডা. কুইন ন্যান্সি মনে করেন, ৪০ বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম। আর সেটা বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তার মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০৩০ সালে তা ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “এই মাত্রা বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে পরিচিত। কেননা ৬০ শতাংশ রোগীর তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার ধরা পড়ে যায় এবং চিকিৎসা করা কঠিন হয়।

তার মতে যে কোনো জীবনধারায় অভ্যস্ত হওয়া বা যে কোনো বয়স থাকতে এর ঝুঁকি কমানো গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করা।

আরও পড়ুন-

SCROLL FOR NEXT