লাইফস্টাইল

কিটো ডায়েট হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

Byলাইফস্টাইল ডেস্ক

ওজন কমানোর সবচাইতে নিরাপদ উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চা। তবে দ্রুত ওজন কমানোর উদ্যেশ্যে অনেকেই বেছে নেন বিপদজনক খাদ্যাভ্যাস, যেখানে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি অনেক।

এমনই একটি খাদ্যাভ্যাস হলো ‘কিটোজনিক’ বা ‘কিটো ডায়েট’।

ওয়াশিংটন ডি.সি.’র ‘ফিজিসিয়ানস কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিন’য়ের ‘নিউট্রিশন এডুকেশন ম্যানেজার’ ও পুষ্টিবিদ লি ক্রসবি সম্প্রতি এই ‘কিটো ডায়েট’ নিয়ে বিশ্লেষণমূলক গবেষণা করেন।

তার সেই গবেষণা প্রকাশিত হয় ‘ফ্রন্টিয়ারস অফ নিউট্রিশন’ শীর্ষক সাময়িকীতে। সেখানে তিনি ওই খাদ্যাভ্যাসকে বিপদজনক আখ্যা দেন।

দাবি করেন “কিটো ডায়েট’য়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাতটি প্রাণঘাতি রোগ। এর মধ্যে কয়েকটি আবার ওই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে নিরাময় করে বলে ধারণা করে সাধারণ মানুষ।”

বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ‘কিটোজেনিক ডায়েট’য়ে ‘কার্বোহাইড্রেইট’ বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরোপুরি। আর বাড়ানো হয় স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার মাত্রা, সঙ্গে থাকে মাঝারি পরিমাণের প্রোটিন।

যারা এই খাদ্যাভ্যাসের আদর্শ অনুসারী তারা খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে রাখেন যাতে শরীরে ‘কিটোসিস’ অবস্থা তৈরি হয়। এই খাদ্যাভ্যাসের প্রবর্তনকারীদের মতে, ‘কিটোসিস’ মানে হল শরীরে ‘কিটোন বডি’ তৈরি হওয়ার পরিবেশ সৃস্টি করা।

মস্তিষ্কের ‘নিউরন’ ও অন্যান্য যেসব কোষ সরাসরি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারে না তাদের জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে এই ‘কিটোন বডি’।

ক্রসবি’য়ের সঙ্গে এই গবেষণায় আরও ছিলেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া’র বিশেষজ্ঞরা।

কী জানা গেলো গবেষণা থেকে

ক্রসবি ও তার দলের দাবি, “কিটো ডায়েট’য়ের কিছু পদ্ধতি দাবি করে সেগুলো ক্যান্সার, ‘আলৎঝাইমার’স ডিজিজ’, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

তবে তাদের গবেষণায় দেখা গেছে এই খাদ্যাভ্যাসের একমাত্র উপকারিতা, যার পেছেনে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে, তা হল এটি ‘এপিলেপ্সি’র চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য।

বরং ‘কিটো ডায়েট’ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও ‘আলৎঝাইমার’স ডিজিজ’য়ের ঝুঁকি বাড়ায়।

অনেকের শরীরেই এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণের কারণে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে দেখা গেছে। যাদের বৃক্কের দুর্বলতা আছে তাদের বৃক্ক একেবারে অকেজো হয়ে যেতে পারে।

গর্ভবতী মা এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে শরীরে ‘কার্বোহাইড্রেইট’য়ের অভাবের কারণে নবজাতকের ‘নিউরাল লোব’ অপরিণত থেকে যেতে পারে।

তাই সবমিলিয়ে ‘কিটো ডায়েট’ আসলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বর্ধক স্বাস্থ্যের জন্য ধ্বংসাত্মক একটি খাদ্যাভ্যাস।

কার্যকর পদ্ধতি হল

ক্রসবি বলেন, “ওজন নিয়ন্ত্রণের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি হলো দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের হিসাব রাখা। খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকতে হবে। ফল, সবজি, লতা, পরিপূর্ণ শষ্য, মাংস সবকিছুই শরীরের জন্য জরুরি। তাই পরিমাণ মতো সবই খেতে হবে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন

SCROLL FOR NEXT