লাইফস্টাইল

সুস্বাস্থ্যের অভ্যাস

Byলাইফস্টাইল ডেস্ক

সুস্থ সুন্দর জীবন সবারই কাম্য। তবে জীবনযাত্রার কিছু ‍ভুলের কারণে ক্রমেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের বদলে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দাস হয়ে উঠছে মানুষ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় পুষ্টিবিদ অনুপমা মেননের দেওয়া পরামর্শ অনুসারে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোর বিষয়ে এখানে জানানো হল।

ঘুম: শরীরকে সারাদিনের ধকল থেকে বিশ্রাম দেওয়ার পুর্নাঙ্গ উপায়টি হল ঘুম। ক্লান্তি দূর করা, বয়সের ছাপ মোছা, সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি পরেরদিন আবার পুর্ণ উদ্যমে কাজে নামার শক্তি যোগায় ঘুম। কিন্তু সাফল্যের লক্ষ্য অর্জণ করতে গিয়ে এই ঘুমকেই সবার অবহেলা।

জীবনে সফল হতে গেলে মানসিক চাপ আসবেই, আর তার সঙ্গে আসবে অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, রাত জেগে কাজ করা। মানসিক চাপের প্রভাবকে আরও বাড়াবে এই বদভ্যাসগুলো। তাই রাতে জলদি ঘুমিয়ে পড়ে ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজ করার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে হবে এবং ঘুম থেকে উঠতে হবে। ছুটির দিনগুলোতে চাইলে একটু আলসেমি করতে পারেন।

প্রোবায়োটিক আর অন্ত্রের যত্ন: অন্ত্র শরীরকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, শরীরের বিষাক্ত উপাদান নিঃসরণ করে, স্বাস্থ্যকর ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে, খাবারের পুষ্টি শোষণ করে এবং শরীরের সকল কার্যাবলী স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় রাখে। আর অন্ত্রের যত্নের জন্য চাই ‘প্রোবায়োটিক’, তাই একে অবহেলা করা চলবে না। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেতে হবে, অতিরিক্ত ‘স্যানিটাইজার’ ও ‘ফ্লোর ক্লিনার’ ব্যবহার করা যাবে না, মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। দিনে এক থেকে দুইবার ‘প্রোবায়োটিক’ যেমন টক দই খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।

দম নেওয়ার ব্যায়াম: ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠে পাঁচ মিনিট ধীরে ধীরে লম্বা দম নেওয়ার ব্যায়াম করলে মানসিকভাবে প্রশান্তি মিলবে, শরীর চাঙ্গা হবে। ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাবে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে। ফলে হৃদস্পন্দন মন্থর হবে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে।

খাওয়ার সময়: সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আর সঠিক সময়টা হল প্রতিবেলার খাবারের মাঝখানে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা। আর ঘুমের মতো খাবারও প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে। আর শরীরের ছোট বড় সকল কাজে চাই পানি। তাই পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো চর্বি কোষ হল শরীরের একমাত্র কোষ যাতে কোনো পানি থাকে না।

অভ্যাস ভাঙা গড়া সহজ কাজ নয়। এই অভ্যাসই একজন মানুষের উন্নতি ও অবনতি সবকিছুর পেছনে দায়ী। সে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই কষ্ট হলেও স্বাস্থ্যকর এই অভ্যাসগুলো আয়ত্ব করতে হবে।

আরও পড়ুন

SCROLL FOR NEXT