লাইফস্টাইল

মৃগী রোগ থেকে অটিজম

Byআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

গবেষক এবং সুইডেনের লিনকোপিংয়ে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি হসপিটালের হেলেন সানডেলিন বলেন, “দুই রোগের মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে অন্যান্য গবেষণায়। তবে আত্মীয়দের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি আছে সেটা বোঝার জন্য আমরা শুধু মৃগী রোগীদের ভাই,বোন, পুত্র-কন্যাদের পর্যবেক্ষণ করেছি।”

মেডিকল জার্নাল ‘আমেরিকান একাডেমি অফ নিউরোলজি’ জার্নালের অনলাইন ইস্যু ‘নিউরোলজি’তে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় তালিকাভুক্ত তথ্য থেকে ৮৫ হাজার ২০১ জন মৃগী রোগী, তাদের ৮০ হাজার ৫১১ জন ভাই-বোন এবং তাদের ৯৮ হাজার ৫৩৪ জন সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

প্রত্যেক মৃগী রোগীকে একই বয়সের, লিঙ্গের এবং এলাকার পাঁচ জন সুস্থ মানুষের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

মৃগী রোগীদের ভাই-বোন, সন্তানদের সঙ্গে সুস্থ রোগীদের ভাই-বোন, সন্তানদেরও তুলনা করা হয়।

প্রায় ছয় বছরের এই পর্যালোচনায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকরা মৃগী রোগীদের মধ্যে অটিজমের আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ জন আর সুস্থদের মধ্যে অটিজমের লক্ষণ পাওয়া গেছে ৭শ’ জনের মধ্যে।

মৃগী রোগীদের অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১.৬ শতাংশ, যেখানে সুস্থদের এই আশঙ্কা মাত্র .২ শতাংশ। শৈশবে মৃগী রোগে আক্রান্তদের প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা সবচাইতে বেশি, ৫.২ শতাংশ। 

অপরদিকে মৃগী রোগীদের ভাই-বোন ও সন্তানদের মধ্যে অটিজম দেখা দেওয়ার আশঙ্কা সুস্থদের চাইতে ৬৩ শতাংশ বেশি।

সন্তানের মায়েদের মৃগী রোগ থাকলে বাড়তি ৯১ শতাংশ এবং বাবাদের মৃগী থাকলে বাড়তি ৩৮ শতাংশ ঝুঁকি থাকে।

সানডেলিন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল এই রোগ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আছে কিনা তা খুঁজে বের করা, যাতে দুই রোগ কেন্দ্র করেই চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব হয়।”

ছবি: রয়টার্স।

SCROLL FOR NEXT