কিডজ

পাই-এর দিন

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

যদি কোনো ভাজক, ভাজ্য দিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিভাজিত হয় মানে সমান ভাগ করতে পারো তাহলে ভাগফল আসবে পূর্ণ সংখ্যায়। যদি সম্পূর্ণ বিভাজিত করা না যায় তখন কী হবে? এমন তো হতেই পারে তাই না? এরকম ক্ষেত্রে একটা ভাগ ফল থাকে। যেমন তোমার যদি ১০টা জায়গায় ১১টা খেলনা থাকতো তবে সবাইকে দুইটি দেওয়ার পরে একটা খেলনা থেকে যেত, এই একটা হতো ভাগশেষ।

খেলনার বেলায় হয়তো ভাগশেষ দিয়ে তুমি সম্পূর্ণ সঠিক একট ভাগাভাগি করতে পারছো না কিন্তু এটা যদি রুটি বা তরল কোনো জিনিসের বিষয় হতো তাহলে অবশ্যই এই ভাগশেষ দিয়ে ভাজ্যকে ঠিকঠাক ভাগ করা যেত। এ ক্ষেত্রে, ভাগফলের পরে একট দশমিক বসতো আর ভাগশেষের সাথে একটা শূন্য। এই দশোমিক আর শূন্যের সাথে ভাজককে মিল করে একটা ভগ্নাংশ মান আসতো যেটা দিয়ে সম্পূর্নভাবে মানটা ভেঙ্গে ফেলেই যেত।

গণিতবিদরা এরকম অনেক সংখ্যার সাথে সংখ্যার ভাগাভাগি করে দেখেছেন। অনেকে ছোট সংখ্যাকে বড় সংখ্যা দিয়ে ভেঙ্গেও দেখেছেন। এত কারসাজি করতে করতে একদিন বিরাট একটা ঘটনা ঘটে যায়। এত বড় একটা ঘটনা যেটা আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী সমাধান করতে পারেননি।

উইলিয়াম জোনস ছিলেন একজন গণিতবিদ সে ১৭০৬ সালের কথা। উনি একদিন ২২ সংখ্যাটাকে ৭ দিয়ে ভাগ করতে বসলেন। প্রথম ভাগফল এলো ৩ এরপর দশোমিক বসিয়ে ভাগশেষগুলোকে একটা সংখ্যায় আনতে চেষ্টা করলে। এতেই একটা অভাবনীয় ঘটনা বের হয়ে এলো। হাজার হাজার পাতা অংক কষে ফেললেও ভাগশেষ শেষ হয় না। ফলে ভাগ শেষ চলতেই থাকে। উনি এই সংখ্যাটাকে চিহ্নিত করেন পাই (π ) হিসাবে।

সেই থেকে পাই নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তার অন্ত নেই। সবাই মিলে শুধু এটাই ভাবছে এই মানের শেষ কোথায়? কোথায় কোথায় কোথায়? এখনও কিন্তু সেই সংখ্যার সীমা বের করা যায়নি। তবে ভাগফলের শেষ না পাওয়া গেলেও পাই দিয়ে একটা আনুমানিক মাপ বোঝানো হয়। পাই হলো এমন একটা সংখ্যা যেটা দিয়ে কোনো বস্তুর একটা মোটামুটি পরিমাপ বোঝানো যায়। অর্থাৎ যখনই আমরা কোনো কিছুর সঠিক মাপ না বোঝাতে পারি সেখানে একটা পাই দিয়ে মাপটা বুঝিয়ে দেই। যেমন বৃত্তের পরিধি মাপতে পাই ব্যবহৃত হয়।

ফিজিসিস্ট হলেন তারা যারা ফিজিক্স বা পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন। এমন একজন বিজ্ঞানী ল্যারি শ। ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞানী ল্যারি শ ঠিক করলেন। এই পাইকে উৎযাপন করতে হবে। তাই তিনি একটা দিন ঠিক করেন পাইয়ের দিন হিসেবে।

এখন বলি এতদিন থাকতে ১৪ মার্চ কেন পাইয়ের দিন। পাই সংক্রান্ত আরও অনেক দিন আছে তবে আমেরিকান আদর্শে আগে মাসের সংখ্যা পরে দিনের সংখ্যা লিখে তারিক লেখা হয় ফলে মার্চ ১৪কে আমরা যদি লিখি ১৪/৩ ওরা লিখবে, ৩/১৪ বা 3.14. এই ৩ দশমিক ১৪ হলো পাইয়ের সর্বজন স্বীকৃত মান, যেটা মানুষ ছোট ব্যবহার করে।

পাই দিবস অনেকভাবে পালন করা যায়, যেমন সেদিন অএঙ্ক অনেক পাই খাওয়া যায় অথবা গোল দেখতে যে কোনো খাবার যেমন বিসকিট, রুটি। কারণ এদের মান আমরা পাই দিয়ে মেপে থাকি। আবার পাই আঁকা কোনো টি শার্ট পরে ঘুরা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ড্যারেন আর্নফস্কিকে-এর সিনেমা পাই দেখতে পারো।

সকলের জীবন পাই-এর মতো সুন্দর হৌক।

SCROLL FOR NEXT