গ্লিটজ

হারিয়ে যাওয়া তারারা 

Byসেঁজুতি শোণিমা নদী

মিনাকশি সেশাদ্রি

মিনাকিশ সেশাদ্রির ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে হিটের তালিকায় আছে ‘হিরো’, ‘দামিনি’, ‘শাহেনশাহ’, ‘ঘায়েল’, ‘বিস সাল বাদ’-এর মতো সিনেমা। কিন্তু বিয়ের পর পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার স্বামী হারিশ মাইসোরের ঘর সামলে আর ওয়াশিংটনে বাচ্চাদের নাচ শেখানোতেই ব্যস্ত আছেন এখন।

কিমি কাতকার

আশির দশকের শেষভাগ থেকে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত হিন্দি সিনেমার ব্যস্ততম অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন তিনি। ‘হাম’, ‘টারজান’-এর মতো হিট সিনেমার এই লাস্যময়ী নায়িকা ১৯৯২ সালে বিয়ে করেন আলোকচিত্রী শান্তনু শেরয়কে। মুম্বাইয়ের পাট চুকিয়ে সংসার পাতে মেলবোর্নে। রূপালি পর্দায় এর পরে আর কখনোই দেখা যায়নি তাকে।

মমতা কুলকার্নি

নব্বইয়ের দশকের আরেক আবেদনময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। যাকে দেখা গেছে ‘তিরাঙ্গা’, ‘ক্রান্তিভির’, ‘কারান আর্জুন’-এর মতো সিনেমায়। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে সম্পর্কে জড়ালেন দুবাই পুলিশের তাড়া খেয়ে বেড়ানো কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ভিকি গোস্বামির সঙ্গে। আর তখন থেকেই পতনের শুরু। সম্পর্ক চুকেবুকে গেলেও কখনো আর ফিরে আসেননি বলিউডের আলো ঝলমলে জগতে। শোনা যায়, এখন বাস করছেন নাইরোবিতে। 

আনু আগারওয়াল

আদিত্য রয় কাপুর আর শ্রদ্ধা কাপুরকে নিয়ে কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া ‘আশিকি টু’ মাতিয়েছে বক্স অফিস। ‘আশিকি’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯০ সালে। এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন আনু আগারওয়াল। মিষ্টি চেহারার দীর্ঘাঙ্গী এই অভিনেত্রী এরপর ছয় বছর রাজত্ব করেছেন হিন্দি সিনেমায়। কিন্ত ১৯৯৯ সালের এক গাড়ি দুর্ঘটনা পাল্টে দিল সব। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এলেও বলিউডে তার হারানো জায়গা পুনরুদ্ধার করতে পারেননি তিনি।

শিল্পা শিরোদকার

অভিনয়গুণে নয়, শিল্পা শিরোদকার আলোচনায় এসেছিলেন একটি ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে। ১৯৮৯ সালে রমেশ সিপ্পির ‘ভ্রষ্টাচার’ সিনেমার ওই একটি দৃশ্যই খ্যাতির তুঙ্গে তুলে দিল তাকে। ‘কিশান কানাইয়া’, ‘খুদা গাওয়া’, ‘আঁখে’-এর মতো সিনেমায় সুযোগ পেলেন তিনি। কিন্তু হারিয়ে গেলেন সাত পাকে বাঁধা পড়ার পরই। স্বামী অপরেশ রাঞ্জিতের সঙ্গে বিয়ের পর থিতু হন লন্ডনে। এখন অবশ‍্য্য একটি মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করছেন তিনি। 

কামাল সাদানাহ

১৯৯০ সালে নিজের জন্মদিনেই বাবার হাতে খুন হতে দেখেন মা আর ছোট বোনকে। একসময়ের খ্যাতিমান বলিউডি পরিচালক –প্রযোজক ব্রিজ সাদানাহ এরপর রিভলভারের গুলিতে আত্মহত্যা করেছিলেন। কাজলের বিপরীতে ‘বেখুদি’ সিনেমায় তার অভিষেক হয়। এরপর দিব্যা ভারতীর বিপরীতে নায়ক হিসেবে দেখা গেছে ‘রং’ সিনেমায়। কিন্তু এরপর হারিয়ে যান। সম্প্রতি অবশ্য ফিরে আসার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সুন্দরবন নিয়ে ‘রোয়ার: টাইগার্স অফ সুন্দরবনস’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন তিনি।

ভিভেক মুশরান

নব্বইয়ের দশকে তার অভিনীত 'সওদাগর’, ‘রাম জানে’, ‘সাতওয়া আসমান’, ‘প্রেম দিওয়ানে’ সিনেমাগুলো ভালোই ব্যবসা করেছিল। এরপরই আস্তে আস্তে ভিভেক মুশরানের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। বড়পর্দা থেকে অবসর নিয়ে তাই ছোটপর্দাতেই ঠাঁই নেন এই অভিনেতা। এখন হিন্দি সিরিয়ালের নিয়মিত মুখ হিসেবেই সবাই চেনেন তাকে।

SCROLL FOR NEXT