গত বছরের নভম্বেরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বলিউডের ছবি আমদানির দাবি তুলেছিল হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে বৈঠক আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
চার মাস পেরোলেও আবেদনের জন্য সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে আসতে পারেনি বলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির কোনও লিখিত সম্মতিপত্র না পাওয়ায় তারা এখনও মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারেননি।
ইতোমধ্যে প্রযোজকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সম্মতি পেলেও সংগঠনটির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় তার কার্যকারিতা হারিয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বিদায়ী সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রযোজক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় পরিচালক সমিতিও সম্মতিপত্র দেয়নি; প্রযোজকদের সম্মতি ছাড়া পরিচালকদের সম্মতি কাজে আসবে না।
২ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় পরিচালক সমিতির নির্বাচনের পর নতুন কমিটি বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসবে বলে আশা করছেন গুলজার।
এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সাড়া পাননি বলে জানান সুদীপ্ত কুমার দাস।
ফলে মন্ত্রণালয়ে আদৗ আবেদন জমা দেওয়া সম্ভবপর হবে কিনা তা নিয়েই অনিশ্চয়তার কথা জানালেন সুদীপ্ত কুমার।
গত বছরের নভেম্বরে যখন বলিউডের ছবি আমদানির দাবি তোলা হয়েছিল তখন লোকসানের শঙ্কায় দেশীয় ছবি মুক্তি দিতে চাননি প্রযোজকরা।
পরবর্তী চার মাসে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে; এর মধ্যে শুধু মার্চেই মুক্তি পেয়েছে ‘স্ফূলিঙ্গ’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’, ‘অলাতচক্র’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র; মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি।