প্রতি শো থেকে অন্তত দশজন যখন শিরোনাম হয়ে যান পত্রিকার- তখনই আরেকটি শো’র জন্য- নতুনদের শিরোনামে পরিণত করার জন্য রাতদিন খাটা শুরু করেন এই শো-নির্মাতা ও তার দল। তেমনই একজন তানভীর খান।
ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ, পাওয়ার ভয়েস, সুপার হিরো সুপার হিরোইন, সানসিল্ক ডিভা বা সিলন সুপার সিঙ্গার- এসকল রিয়েলিটি শো’য়ের পেছনে আছে তার ও তার দলের কৌশল এবং পরিশ্রম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের গ্লিটজের আমন্ত্রণে তিনি প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হলেন এমস একটি আলাপচারিতায় যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন রিয়েলিটি শো’য়ের নানান দিক, সম্ভাবনা এবং সফলতার মূল মন্ত্র।
আলাপের শুরুতেই তানভীর খান তার নতুন এবং চলমান শো’য়ের সম্বন্ধে জানিয়ে বলেন- ”বিষয়টাই স্পর্শকাতর, আমরা কাজ করছি গৃহিনীদের নিয়ে। যারা কোনো কারণে একটা সময় নিজের স্বপ্ন থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। অবশ্যই স্বপ্নটা গান নিয়ে। সিলন সুপার সিঙ্গারের মূল উদ্দেশ্য – এই গৃহিনীদের পর্দার সামনে এনে তাদের স্বপ্ন পূরণে আরেকবার উৎসাহ দেওয়া।”
রিয়েলিটি শো নিয়ে বর্তমানের টানাপোড়েন আর সমালোচনা প্রসঙ্গ এখানে চলে আসে স্বাভাবিক ভঙ্গীতেই।
তানভীর খান সহজ ভাবেই এর উত্তর দিলেন “আমাদের টিম যখন কাজ করে, সেটা যে রিয়েলিটি শো’ই হোক না কেনো, প্রতিটা সদস্যকে বলা থাকে যেন কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিযোগীর সঙ্গে থাকা একজনকেও কোনো ভাবে অসম্মান না করা হয়।”
“প্রতিযোগিতা মানেই নির্বাচনের একটা বিষয় থাকে। সেটা যেমন দরকার, কোনো প্রতিযোগী যেন নিজেকে একেবারেই অযোগ্য না মনে করে- সেটাও আমাদের দেখা কর্তব্য”- বলেন তানভীর খান।
দেশ এবং সংস্কৃতির বিষয়ও তুলে ধরেন এই নির্মাতা আলাপের মাঝে।
বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ কী চায়, সেটা কিন্তু আগে বুঝতে হবে, শুধু রিয়েলিটি শো’য়ের জন্য নয়। যেকোনো শো’র জন্য। কারণ আমাদের দেশের মানুষ স্বভাবতই একটু প্রতিক্রিয়াশীল। সেখানে বাইরে দেশে চলমান রিয়েলিটি শো’র মতোন খুব বেশি আক্রমাণত্মক বিচার বা উপস্থাপনা নিতে পারবে কিনা তাতে অবশ্যই সন্দেহ আছে।”
যেকোনো শো’য়ের মেধাস্বত্ব কিনে আনলেও তা দেশীয়করণের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন এই নির্মাতা।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন রিয়েলিটি শো’য়ের সমালোচনা পেছনে এই ক্রিয়েটিভ টিমের অনুপস্থিতিও একটি বড় কারণ। ”
বিচারকদের ভূমিকা নিয়ে তানভীর যোগ করেন নিজের মতামত। তিনি মনে করেন, বিচারকের আসনে তাকেই রাখা বাঞ্ছণীয় যাকে দেখে প্রতিযোগীরা আপন মনেই “ওয়াও” বলে উঠবে। যারা তাদের আইডল। তাহলে তাদের ’হ্যা’ বা ‘না” দুটোই কিন্তু প্রতিযোগীরা যেমন মেনে নেবেন, তেমনই দর্শকরাও সহজে বিচারকদের যেকোনো সীদ্ধান্তে সায় জানাবে।
নানান ধরনের রিয়েলিটি শো দিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করলেও সঙ্গীত নির্ভর শো মানেই তানভীর খান কেনো?
তবে সামনে তাকে দেখা যাবে অন্যরকম একটি রিয়েলিটি শো এবং প্রতিযোগিতার নির্মাতার আসনে। আসন্ন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার পেছনে আবারও কলকাঠি নাড়বেন তানভীর ও তার দল।