গ্লিটজ

আমজাদ হোসেনের মরদেহ আসছে শুক্রবার

Byগ্লিটজ প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক জানান, যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই তার মরদেহ আনা হবে। তবে বৃহস্পতিবারও আনার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।

পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

গত শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎকরা আমজাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

বাংলাদেশের দর্শকদের যিনি উপহার দিয়ে গেছেন ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’র মত চলচ্চিত্র।

ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। তখন থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এ নির্মাতার অসুস্থতার খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা দেন। ২৭ নভেম্বর আমজাদ হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় সেখানে চিকিৎসা চলার পরও ডাক্তাররা তাকে বাঁচাতে পারেননি।

১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট জামালপুরে জন্ম নেওয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত।

‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রুপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন।

১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন।

তার ‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কসাই’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও দর্শক ও বোদ্ধামহলের প্রশংসা পায়। তার লেখা ও নির্মিত টিভি নাটকও ছিল জনপ্রিয়।

গান লেখায়, চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।

SCROLL FOR NEXT