অপর্ণা সেন ঢাকায়, তাই শনিবার তার সম্মানে ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজে অংশ নেন দেশীয় বড়পর্দার তারকা ও নির্মাতারা।
অনুষ্ঠানে অপর্ণা বলেন, “নানা কারণে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা হয় না। তবে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ চলচ্চিত্রটি দেখেছি। মুগ্ধ হয়েছি। অসাধারণ এই সিনেমাটি সবার একবার হলেও দেখা উচিত। তারেক মাসুদ দারুণ একজন নির্মাতা ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “ঘরে-বাইরে নারীরা আজও অবহেলিত। আমি চাইবো নারীরা এই শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যাবেন। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। চলচ্চিত্রে এখন বিশ্বজুড়েই নারীদের প্রাধান্য বাড়ছে।”
অন্যদিকে, রবিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেত্রী ও নারী চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক উইম্যান কনফারেন্স’।
এ কনফারেন্সের সমাপনী সেশনে অতিথি আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন অপর্ণা। রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে তিনটি সেশনে চলে এই আয়োজন।
সকালের সেশনে বক্তব্য রাখেন, ভারতের অভিনেত্রী এবং পরিচালক বিজয়া জেনা, ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন এবং ব্রাজিল থেকে আগত চলচ্চিত্র নির্মাতা ল্যুড মনাকো বক্তব্য রাখেন।
দ্বিতীয় সেশনে উপস্থিত ছিলেন ইরান থেকে আগত বহুমাত্রিক অভিনেত্রী ফাতেমা মোহাম্মদ।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর শুরু হয় তৃতীয় সেশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অপর্ণা সেন এবং তুরস্কের চলচ্চিত্র সমালোচক এলিন তাস্কিয়ান।
এ সেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে অপর্ণা সেন তার নির্মিত অনেক সিনেমার উদাহরণ দিয়ে চলচ্চিত্রে দক্ষিণ এশীয় নারীদের উপস্থাপনা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্বে চলচ্চিত্রে নারীদের যেভাবে দেখানো হয়, তার চেয়ে আমাদের এখানে নারীদের ভূমিকা ভিন্ন।”
নিজের বক্তব্যে তার নির্মিত ‘পরমা’ চলচ্চিত্রটিতে বৌ-শাশুড়ী চরিত্র দু’টি ব্যাখ্যা করেন।
আগামীকাল সোমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে অপর্ণা সেন পরিচালিত সিনেমা ‘সোনাটা’।
জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে বিকেল ৫টায় প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রটি। এর আগে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হবেন অপর্ণা।