গ্লিটজ

তিন তারকার বিজয় ভাবনা

Byগ্লিটজ প্রতিবেদক

চিত্রনায়ক ইমন গ্লিটজকে বলেন, “১৬ ডিসেম্বর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এর চেয়ে বড় কোনো উৎসব হতে পারে না। ৭১ সালে জন্ম না হলেও পরবর্তীতে বইয়ের মুক্তিযুদ্ধের গল্প পড়েই সেই দিনগুলির কথা চোখের সামনে ভেসে উঠে।

যেন চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নির্যাতনের নির্মম চিত্র। একটা মানুষ কীভাবে আরেকটা মানুষের উপর এতটা বর্বর নির্যাতন করতে পারে সেটা ভেবে এখনও বাকরুদ্ধ হয়ে যাই।”

তিনি জানান, “আগামীকাল গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর পলাশে যাব। ওখানে কয়েকটা অনুষ্ঠানে কথা বলব। তরুণ প্রজন্মকে বিজয়ের চেতনায়, একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত করার মধ্য দিয়েই এবারের বিজয় উৎসব পালন করবো।”

আরেক অভিনেতা শিপন মিত্র খানিকটা আক্ষেপ করলেন শৈশব-কৈশোরের বিজয় দিবসের জন্য।

তিনি গ্লিটজকে বলেন, “আমার শৈশব-কৈশোরে যেভাবে বিজয়ের উৎসব পালন করতাম সেটা এখন আর হয় না। সেসময় খুব ভোরে ঘুম ভাঙত তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। এরপর তড়িঘড়ি করে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে বের হয়ে পড়তাম। স্কুলে স্কুলে বিজয় উৎসব হত।

এখনও হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার জীবনটা স্কুলে আটকে নেই। বড় হওয়ার পরে সেভাবে আর বিজয় উৎসব করা হয় না। দিনটি পরিবারের সাথেই কাটাই। মুক্তিযুদ্ধের উপরে নির্মিত নাটক সিনেমা দেখি।”

চিত্রনায়ক সাইমন সাদিককে ১৬ ডিসেম্বর শুটিং করতে হবে বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আমার মা আমার বেহেশত’ সিনেমার।

তিনি গ্লিটজকে বলেন, “এই জীবনে প্রথম ১৬ ডিসেম্বর আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। মূলত এই দিনটিতে আমি কাজ করিনি আগে কখনও। এবার ফাইট ডিরেক্টরের শিডিউল না থাকার কারণে কাজ করতে হচ্ছে।”

শৈশবের ১৬ ডিসেম্বরকে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় উল্লেখ করে সাইমন বলেন, “আমার ভেতরে বা আমাদের ভেতরে যে দেশপ্রেমের বীজ সেটা কিন্তু শৈশবের বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসেই তৈরি হয়েছে।

সে সময়ে স্কুলে কুচকাওয়াজসহ চিত্রাঙ্কন ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। এভাবেই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আস্তে আস্তে জেনেছি, দেশপ্রেম তৈরি হয়েছে। ছোটবেলায় ভাবতাম দেশে আরেকবার যুদ্ধ আসলে আমি মুক্তিযোদ্ধা হব।”

SCROLL FOR NEXT