গানের প্রথম অংশেই দেখানো হয় নায়কের তুলনায় নায়িকার কোনো গুরুত্বই নেই বলিউডি পরিচালকের কাছে। কঙ্গনা অভিনীত নায়িকার চরিত্রটি একজন পদার্থবিদের হলেও আইটেম সঙে তাকে গাইতে হবে ‘মেরে সিনে মে আয়োডেক্স হোঁটো সে মল দে’ (আমার বুকে আয়োডেক্স ঠোঁট দিয়ে মালিশ করে দাও)। এই বাক্য নায়িকা বলতে অস্বীকৃতি জানালে পরিচালক শোনেন না। কিন্তু নায়ক এই সংলাপকে ফেলে দিতে বললে তাকে ‘স্মার্ট’ বলে বাহবা দেন!
এই অংশে নির্মাতা করণ জোহরকেও ব্যঙ্গ করা হয়। বলিউড স্বজনপ্রীতির ধারক ও বাহক হিসেবে করণ জোহরকে সবসময় দায়ী করে এসেছেন কঙ্গনা। গানের শুরুতে করণের ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমার একটি দৃশ্যকে প্যরোডি করে নায়কের প্রতি নির্মাতার পক্ষপাতকে তুলে ধরা হয়।
অভিনেতা হৃত্বিক রোশন তার সঙ্গে প্রেমে প্রতারণা করেছেন- এমন অভিযোগ কঙ্গনার দীর্ঘদিনের। গানের একটি অংশে নায়কের প্রতি কঙ্গনার ‘পাপা নে তুঝকো লঞ্চ কিয়া ভে’ (বাবা তোমার অভিষেক ঘটিয়েছে) সংলাপের মাধ্যমে দর্শককে যেন তিনি মনে করিয়ে দিলেন বাবা রাকেশ রোশনের হাত ধরে হৃত্বিকের বলিউডে পদার্পণের কথাই!
বলিউডে পঞ্চাশোর্ধ ‘বুড়ো’ নায়ক আমির, সালমান, শাহরুখ, অক্ষয়রা এখনও রাজত্ব করে যাচ্ছেন। তাদের বিপরীতে অভিনয় করছেন ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট, ভূমি পেড়নেকরদের মতো তরুণীরা। এই বৈষম্যও ব্যঙ্গাত্মকভাবে উঠে এসেছে গানে। নায়কদের তুলনায় নায়িকাদের পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা তো আছেই।
দীপিকা পাড়ুকোণের মতো তারকার বুকের খাঁজ প্রথম পাতায় প্রকাশ করার মতো আলোচিত ঘটনার কথাও আছে গানটিতে। আর এর সবকিছুই বলিউডের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচায়ক- গানটিতে ঘুরে ফিরে এই কথাই বারবার বলেছেন কঙ্গনা।
প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া গানটি এপর্যন্ত দেখা হয়েছে দুই কোটি ২৮ লাখ বারেরও বেশি। গানটিতে কঙ্গনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন এআইবি’র সদস্যরা।