ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের এক দশক!

টানা দুই বছর গণমাধ্যমের নজর এড়িয়ে চুটিয়ে প্রেম করেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই ও জুনিয়র বচ্চন। এরপর পারিবারিকভাবেই গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। বাবা অমিতাভ বচ্চন ও মা জয়া বচ্চন-এর মতোই বলিউডের আদর্শ জুটি হিসেবে নিজেদের পরিচিত করে তুলেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। দশম বিবাহবার্ষিকীতে চলুন জেনে নিই এ জুটির প্রেম, বিয়ে ও ভালবাসার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

১. ঐশ্বরিয়ার মুখে প্রখম ‘হ্যাঁ’

১৩ জানুয়ারি অভিষেক এক টুইট পোস্টে লিখেছেন, “দশ বছর আগে আজকের দিনে নিউইয়র্কের এক বরফশীতল ঠান্ডা বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রথম আমাকে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলো সে!” জুনিয়র বচ্চন-এর এ টুইট পোস্টটিই প্রমাণ করে ঐশ্বরিয়া’র প্রতি তার প্রেম কতটা গভীর!

২. সম্পর্কের গোপন চাবিকাঠি- ‘বন্ধুত্ব’

অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া’র কাছে প্রায়ই যে প্রশ্নটি সবাই করে থাকে সেটি হলো- তাদের সম্পর্কের গোপন রহস্যটি কী? হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই তারকাজুটি বলেছিলেন, বন্ধুত্বই হলো তাদের দীর্ঘ ও সফল প্রেমের গোপন রহস্য। ঐশ্বরিয়া বলেন, “অভিষেক আমার জীবনের সবচেয়ে কাছের এবং ভালো বন্ধু। এ কারণেই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি।” একই উত্তর দেন অভিষেকও।

৩. ঐশ্বরিয়া-অভিষেক প্রেমের ইন্ধনদাতা করণ জোহর

এক সাক্ষাতকারে অভিষেক বলেছিলেন, বন্ধু করণ জোহরই নাকি প্রথম তাকে ঐশ্বরিয়া’র সঙ্গে প্রেম করতে বলেন!

অভিষেক বলেন,“করণ জোহরই হলো সেই প্রেমের দেবতা ‘কিউপিড’, যে কি না প্রথম আমাকে বলেছিলেন প্রেম করার জন্য ঐশ্বরিয়া’র চেয়ে ভালো আর কেউ হতেই পারে না!”

বাস্তব জীবনের সেরা জুটির পর্দা রসায়নও কম আলোচিত নয়। ‘ধাই আকশার প্রেম কি’, ‘ধুম-টু’, ‘উমরাও জান’, ‘রাবণ’, ‘গুরু’ ও ‘সরকার রাজ’ সহ বেশকিছু সিনেমায় জুটি হিসেবে দেখা গেছে তাদের। বাস্তবের পাশাপাশি রূপালি পর্দাতেও একসময় বেশ জনপ্রিয় অভিষেক-ঐশ্বরিয়া জুটি।

৫. ঐশ্বরিয়ার দৃষ্টিতে ‘সেরা স্বামী’ অভিষেক

ঐশ্বরিয়া বরাবরই বলে বলে এসেছেন, তার দৃষ্টিতে অভিষেকই হলো পৃথিবীর সেরা স্বামী! এক সাক্ষাতকারে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, “সকল কর্মজীবী নারীর জন্য অভিষেকের মতো একজন জীবনসঙ্গী খুবই দরকার। একই সঙ্গে এমন যত্নবান, রোমান্টিক ও সুদর্শন স্বামী পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।”

৬. মেয়ে আরাধ্য’র প্রতি ভালবাসা

এই জুটির একমাত্র সন্তান আরাধ্য’র প্রতি সমান যত্নবান দু’জনই। কখনোই নাকি আরাধ্যকে একা রেখে কোথাও যান না অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। দু’জনের যে কোনো একজন সব সময়ই মেয়ের সঙ্গে থাকেন।