তাজমহল টেন্ডার নাটকের মহড়ার দৃশ্য।

)<div class="paragraphs"><p>তাজমহল টেন্ডার নাটকের মহড়ার দৃশ্য।</p></div>
গ্লিটজ

‘তাজমহলের টেন্ডার’ মঞ্চে আনছে কণ্ঠশীলন

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন নাটক ‘তাজমহলের টেন্ডার’ মঞ্চে নিয়ে আসছে কণ্ঠশীলন। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে এই নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে।

ভারতীয় নাট্যকার অজয় শুক্লার লেখা ‘তাজমহল কা টেন্ডার’ থেকে বাংলায় ‘তাজমহলের টেন্ডার’ শিরোনামে অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী। নির্দেশনায় আছেন কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত।

কণ্ঠশীলন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন নাটক তাজমহলের টেন্ডারের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাপতি লাকী ইনাম।

১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের নাটকটির সংগীত পরিকল্পনা ও সুর করেছেন অসীম কুমার নট্ট; আলোক পরিকল্পনায় অম্লান বিশ্বাস, কোরিওগ্রাফি ও ডিজাইন আমিনুল আশরাফ ও তাহরিমা প্রিয়াঙ্কা। মঞ্চসজ্জা, পোশাক ও প্রপস লিয়া এবং গান লিখেছেন মীর বরকত।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন মোস্তফা কামাল, আহমাদুল হাসান হাসনু, অপরেশ সাহা, সোহেল রানা, শফিক সিদ্দিকী, সালাম খোকন, অনন্যা গোস্বামী, শফিকুল ইসলাম শফি, জেএম মারুফ সিদ্দিকী, নিবিড় রহমান, মো. আব্দুল কাইয়ুম, আইরিন খানম, ইকবাল হোসেন ও আল মামুন সিদ্দিক।

নির্দেশক মীর বরকত বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক বন্ধুবর সফিকুন্নবী সামাদী উর্দু-হিন্দি সাহিত্য অনুবাদে সিদ্ধহস্ত। একটি হাস্যরসাত্মক নাটক অনুবাদের জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ভারতের নাট্যকার অজয় শুক্লার তাজমহল কা টেন্ডার নাটকটি দ্রুত অনুবাদ করে তিনি আমাদের হাতে তুলে দেন।

“প্রথম পাঠেই দলের সদস্যরা নাটকটি পছন্দ করেন। একটি ঐতিহাসিক বিষয়কে অবলম্বনের মাধ্যমে কাল্পনিক কাহিনির পরম্পরা সাজিয়ে নাটকটিকে হাস্যরসাত্মক ও চিরন্তন করে তুলেছেন নাট্যকার অজয় শুক্লা। সামাদীর সহজ সরল অনুবাদকে কাজে লাগিয়ে অভিনেতারা কমেডি ধাঁচের অভিনয়ের মাধ্যমে হাস্যরস ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।”

আবৃত্তির সংগঠন হিসেবে পরিচিত হলেও কণ্ঠশীলন ১৯৯৩ সাল থেকে নিয়মিত মঞ্চনাটক প্রযোজনা করছে।

কণ্ঠশীলন প্রযোজিত প্রথম তিনটি নাটকের নির্দেশনা দেন প্রয়াত খালেদ খান (যুবরাজ)। নাটকগুলো ছিলো হেনরিক ইবসেনের এ ডলস হাউজ অবলম্বনে শম্ভু মিত্র রূপান্তরিত ‘পুতুলখেলা’, মাস্টার বিল্ডার অবলম্বনে ‘কারিগর’; ইউসুফ ইদরিসের ‘দ্য ফারফুরস অবলম্বনে ‘ভৃত্য রাজকতন্ত্র’।

এছাড়া সৈয়দ শামসুল হকের ‘উত্তরবংশ’ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘রাজা-রানী’; মনোজ মিত্রের ‘যা নেই ভারতে’ এবং নিথর মাহবুবের ‘মুদ্রাগ্রহণ’ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন মীর বরকত।

SCROLL FOR NEXT