ফাইল ছবি: সুমন বাবু

)<div class="paragraphs"><p>ফাইল ছবি: সুমন বাবু</p></div>
অর্থনীতি

২০২১-২২: জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৭.১%, ডলারের উচ্চমূল্য কমাল মাথাপিছু আয়

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

চূড়ান্ত হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে কিছুটা কমার খবর দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

রোববার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, প্রাক্কলনের সময়কার চেয়ে চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি শুন্য দশমিক ১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

অপরদিকে ৩১ ডলার কমে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এর কারণ হিসেবে উচ্চমূল্যের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক পরিচালক।

এদিন গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিবিএসের অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে ওই অর্থবছরের প্রাথমিক প্রাক্কলনে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এ প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বপালনকারী ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানত: ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান হারানোর কারণে ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে। আমরা গত অর্থবছরের (২০২১-২২) মাথাপিছু আয় যখন প্রাক্কলন করছিলাম তখন ১ ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছিল ৮৫ দশমিক ৫২ টাকা। এবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় এটা ধরা হয়েছে ৮৬ দশমিক ৩৩ টাকা।“

তবে চূড়ান্ত হিসাবের সময় ডলারের বিপরীতে বর্তমানে টাকার মান যতটা হারিয়েছে সেটা আমলে নেওয়া হয়নি। কারণ ওই হিসাবটি আগের অর্থবছরের। বর্তমানে প্রতি ডলার ১০৫ টাকা বা এর বেশি যে বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে তা চলতি অর্থবছরের হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

এ হিসাব বলছে, এতে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় আগের চেয়ে আরও কমে যেতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ সকল খাত থেকে সকল আয়ের সঙ্গে প্রবাসীরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান তা যুক্ত করে মোট জাতীয় আয় হিসেবে হিসাব করা হয়। এক অর্থবছরে জাতীয় আয়কে দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে মাথাপিছু আয় হিসাব করা হয়।এটি কারও ব্যক্তিগত আয় প্রকাশ করে না।

এদিকে চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ হওয়ার বিষয়ে বিবিএসের পরিচালক জিয়াউদ্দিন জানান, শিল্প ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সেবা খাতেও কিছুটা কমার কারণে চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কিছুটা কমেছে।

চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যায়, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে যা প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

একইভাবে চূড়ান্ত হিসাবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসাবে ধরা হয়েছিল ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

প্রাথমিক হিসাবে দেশের জিডিপির সবচেয়ে বড় সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ; পরে চূড়ান্ত হিসাবে হয়েছে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

SCROLL FOR NEXT