অর্থনীতি

প্রায় ৬ বছর পর হচ্ছে উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

এক সময়ের ‘প্যারিস বৈঠক’ থেকে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের এই বৈঠক নামে পরিচিত আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সংগঠন এলসিজির যৌথ আয়োজনে ঢাকায় ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) দাতা দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকাতেই বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) সর্বশেষ বৈঠকটি হয়।

এবিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অক্টোবরে বিডিএফ বৈঠক আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করে তারিখ চূড়ান্ত করে তা দাতাদের জানানো হবে।

“শীর্ষ দাতাসংস্থাগুলো লিখিতভাবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরের মধ্যে বিডিএফ বৈঠকের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। সে মোতাবেকই আমরা অক্টোবরে বৈঠকটি আয়োজন করছি।”

সর্বশেষ বৈঠকে প্রতিবছর বিডিএফ বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে উন্নয়ন সহযোগীদের অনীহার কারণে আয়োজন করতে পারেনি সরকার।

২০০২ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফান্সের রাজধানী প্যারিসে দাতাদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা অংশ নিতেন, যা ‘প্যারিস বৈঠক’ হিসেবে পরিচিত ছিল।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, এবারের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়নে পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হবে।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থের প্রয়োজন হবে তার একটি অংশ চাওয়া হবে দাতাদের কাছ থেকে।

একইসঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করতে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিদেশি বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দাতাদের নীতিগত সহায়তা চাওয়া হবে।

মধ্য আয়ের দেশ হতে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অন্তত ৩০০ কোটি ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩০৮ কোটি ডলার ছাড় করেছিল দাতারা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম আট (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মাসে ১৮৬ কোটি ছাড় করেছে তারা।

১৯৭২ সাল থেকে গত জুন পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশকে মোট ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঋণ-সহায়তা দিয়েছে।

এর মধ্যে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে, আর দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে এসেছে।

SCROLL FOR NEXT