অর্থনীতি

গত অর্থবছরে ৪৫ লাখ টন মাছ উৎপাদন: মন্ত্রী

Byসংসদ প্রতিবেদক

মঙ্গলবার সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪৫ লাখ ৩ হাজার টন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মাছের চাহিদার পরিমাণ দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম। চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম।

ফলে মাথাপিছু চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, বলেন রেজাউল।

তিনি বলেন, “অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়, বদ্ধ জলাশয় এবং সম্প্রসারিত সামুদ্রিক জলাশয়ে উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের ফলে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মাছে ফরমালিন ব্যবহার রোধে মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে বাজার পরিদর্শন, অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে।

তিনি একইসঙ্গে বলেন, “মৎস্য অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে বর্তমানে প্রতিটি মাছ বাজারে একটি ফরমালিন বুথ স্থাপন করা দুরূহ। তবে খাদ্যে ভেজাল রোধে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।”

মন্ত্রী জানান, দীর্ঘ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ১০৫টি উপজেলাকে মাছ বিপণনে ফরমালিনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং ৪২ হাজার ১৬১টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।

সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মৎসমন্ত্রী বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের গবেষণা ও জরিপ জাহাজ আরভি মীনসন্ধানীর মাধ্যমে ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে মৎস্য সম্পদের পরিমাণ নিরূপনসহ গবেষণা ও জরিপ কাজের জন্য সার্ভে ক্রুজ পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩১টি সার্ভে ক্রুজ পরিচালিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪৫৭ প্রজাতির মাছ ও প্রাণী শনাক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে মাছ ৩৭৩ প্রজাতির, হাঙ্গর ও রে ২১ প্রজাতির, চিংড়ি ২৪ প্রজাতির, কাঁকড়া ২১ প্রজাতির, লবস্টার ৩ প্রজাতির, স্কুইলা ১ প্রজাতির, স্কুইড ৫ প্রজাতির এবং কাটেল ফিশ ৫ প্রজাতির পাওয়া গেছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

SCROLL FOR NEXT