অর্থনীতি

সংশোধনে এডিপি ৪.৮৩% কমানোর পরিকল্পনা

Byজাফর আহমেদ

মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় এডিপি সংশোধনের এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছিল সরকার। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নসহ এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সরকার প্রতিবারই শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে এলেও বাস্তবায়নের ধীর গতির কারণে প্রতিবছরই অর্থ বছরের শেষভাগে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কাটছাঁট প্রয়োজন হয়। গত অর্থবছর এডিপির আকার কমেছিল ৪.৬২ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দাতাদের কাছ থেকে যে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেই বরাদ্দ থেকেই ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমিয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে।

আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা যোগান দেওয়ার কথা ছিল সেই বরাদ্দ অক্ষত রেখেই চলতি অর্থবছরে এডিপি সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এডিপি সংশোধন নিয়ে পরিকল্পনা বিভাগ এবং অর্থবিভাগের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক হচ্ছে। এসব বৈঠকে আমরা সরকারের নিজস্ব বরাদ্দ না কমনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার শুধুমাত্র প্রকল্প সহায়তার খাত থেকেই কমানো হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে আমরা শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করি। কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলেও তা জানানোর জন্য বলি।

“শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বরাদ্দ কমনোর প্রস্তাব পুরোটাই প্রকল্প সহায়তা থেকে এসেছে। অর্থাৎ তারা চলতি অর্থবছরের প্রকল্প সহায়তার বরাদ্দ থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে।”

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নূরুল আমিন বলেন, “আসলে সরকারি অর্থ ব্যয়ে জটিলতা থাকে না। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা সরকারি অর্থ কাটছাঁট করে ফেরত দেয়নি বলে আমার মনে হয়েছে।”

পরিকল্পনা সচিব বলেন, মার্চের প্রথম দিকে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত কমিটির বৈঠক হতে পারে। ওই বৈঠকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার চূড়ান্ত করে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এনইসি সভায় উপস্থাপন করা হবে।

SCROLL FOR NEXT