অর্থনীতি

সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে ধীরগতিতে সংসদীয় কমিটির উষ্মা

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় সদস্যদের অসন্তোষ প্রকাশিত হয়।

কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে এলএনজি কিনছি। এর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করছি। এই এলএনজি সমুদ্র পথেই আসছে। কিন্তু যে বিশাল সমুদ্র সীমা আমরা অর্জন করেছি, সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করছি না।

“সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে যেরকম কার্যক্রম নেওয়ার কথা, সেরকম করা হচ্ছে না। আমরা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

পেট্রোবাংলা সমুদ্র এলাকাকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করেছে। এর মধ্যে ১১টি অগভীর আর ১৫টি পড়েছে গভীর সমুদ্রে। এর মাত্র চারটি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে।

এর আগে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাঙ্গু থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে। সাঙ্গু ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস ১০ এবং ১১ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জরিপ চালায়। ওই জরিপে ভালো ফল পাওয়ার কথা জানায় মার্কিন কোম্পানিটি। কিন্তু গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কনোকোর দাবি সরকার মেনে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি ব্লক দুটি ফেলে চলে যায়।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

“কমিটি দেশের সকল স্থানে সমপরিমান গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ‘অফশোর’ গ্যাস আহরনে আরও বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করে।”

বৈঠকে সারাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে দেশে স্থাপিত কনডেনসেট প্লান্টগুলোতে পর্যাপ্ত কনডেনসেট সরবরাহ করার সক্ষমতা না থাকলেও মন্ত্রণালয় থেকে যাতে নতুন কনডেনসেট প্লান্ট নির্মাণের অনুমতি না দেওয়া হয়, তার সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া কনডেনসেটের মূল্য যাতে আমদানি করা জ্বালানি তেলের চেয়ে বেশি না হয় এবং কোনোভাবেই কনডেনসেট যেন বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবু জাহির. আলী আজগার, এসএম, জগলুল হায়দার, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।

SCROLL FOR NEXT