অর্থনীতি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলবে ২০২০ সালের জুনে: মন্ত্রী

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় মৃত এই প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে এখন আর কোনো সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে কাওলায় প্রকল্পের শুরুর পয়েন্টে কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা জানেন এই প্রজেক্টটি মরেই গিয়েছিল। মৃত প্রজেক্টটিকে জীবিত করা হয়েছে, ঝুলেই ছিল দীর্ঘদিন এই প্রজেক্ট। এখন এই প্রজেক্ট গতি পেয়েছে।

“মাঝখানে অর্থায়নের সমস্যা ছিল। এখন এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এই জানুয়ারি মাসেই ৮৬১ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। সঙ্গে আছে আইসিবিসি, তারা আরও ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। এখন আর অর্থায়নের কোনো সমস্যা নাই। মার্চ নাগাদ সব টাকা এসে যাবে।”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

প্রকল্প এলাকাকে তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় অংশে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় অংশে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জুনের অগেই প্রথম ফেইজের কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় ফেইজ ২০২০ সালের জুলাই নাগাদ হয়ে যাবে। আর তৃতীয় ফেইজ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। অর্থাৎ তিন ধাপের কজ শেষ হবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথমম ধাপের কাজ ৫০ ভাগ, আর মোট কাজের অগ্রগতি ২০ ভাগ।”

দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শেষ হলেই জনগণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “দ্বিতীয় ফেইজ সম্পন্ন হলে অপারেশনটা আমরা করতে পারব। প্রথম ফেইজটা ফিজিবল হবে না। আগামী বছর জুলাই নাগাদ দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শেষ হলে অপারেশন শুরু হয়ে যাবে।”

প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

আগামী রোজার ঈদের আগেই মহাসড়কের সব ফ্লাইওভার ও সেতুর কাজ শেষ হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

“আগামী রমজানের ঈদের আগেই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিনটি সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে। কাঁচপুর সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ে, মেঘনা, গোমতী সেতুর কাজ জুনের আগেই শেষ হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজও ঈদের আগে শেষ হবে। সেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোনাবাড়ির ফ্লাইওভারের কাজ ৯৭ ভাগ শেষ হয়ে গেছে।”

এছাড়া চন্দ্রা ফ্লাইওভার, ঢাকা-টাঙ্গাইলের পথে পাঁচটি ফ্লাইওভার, তিনটি আন্ডার পাস, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভুলতা ফ্লাইওভারের কাজ জুনের আগেই সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

SCROLL FOR NEXT