অর্থনীতি

মেগা প্রকল্পে ৩২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা ‍সেতুর কাজ ৫২ শতাংশ এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সংযোগ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হলেও বাকিগুলোর তেমন অগ্রগতি নেই।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ১০টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে নয়টির জন্য মোট ৩১ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি সরকার এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে পারেনি বলে এটি মেগা প্রকল্পের তালিকায় থাকলেও কোনো অর্থ বরাদ্দ পায়নি।

সর্বোচ্চ ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ’ প্রকল্পে।

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। মূল সেতুর জন্য রাখা হচ্ছে ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।

‘ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ বা মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ১৭১ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে তিনি রেখেছেন ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা।

দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ (১ম পর্যায়) প্রকল্প’র জন্য ৫০০ কোটি টাকা এবং মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৭৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়।

আর গত বছরের নভেম্বরে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

পদ্মায় রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য চীনের সঙ্গে অর্থায়ন চুক্তি হয়ে শিগগিরই মূল কার্যক্রম শুরু হবে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, “দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক ১০টি বৃহৎ প্রকল্পকে মেগাপ্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরদারিতে আনা হয়েছে।”

SCROLL FOR NEXT